বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তার দুই পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান এবং সৈয়দা শামিলা রহমানের জন্য গুলশানের ফিরোজায় দুপরের খাবার রান্না করেছেন শহীদ জিয়াউর রহমানের আমলের বাবুর্চি। মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান সাংবাদিকদের একথা জানান।

তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান স্যারের সময় থেকে যিনি রান্না করতেন, তিনিই আজ রান্না করেছেন।’ তবে, শায়রুল কবির খান বিশেষ ভোজের মেন্যু সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেননি। তিনি বলেন আজ তাদের পছন্দের খাবারের সাথে বিশেষ কোনো মেন্যু আছে কি না, সেটা বলা যাচ্ছে না।

এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দুই পুত্রবধূকে নিয়ে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় পৌঁছেন মঙ্গলবার দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে। এ সময় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্যান্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজার পথে রওয়ানা হন তিনি। বিশেষ নিরাপত্তাবেষ্টনীর মধ্য দিয়ে গাড়িবহরসহ তিনি নিজ বাসভবনের দিকে রওয়ানা হন। তাকে বহনকারী কাতারের আমিরের বিশেষ বিমানটি সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে (এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

এদিকে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে সকাল থেকেই বিমানবন্দরে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢল নামে। নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে থেকেই নেতাকর্মীরা বাইরের সড়কে জড়ো হন।

তাছাড়া খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা উপলক্ষ্যে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। সেখানে অন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি কাজ করছে সেনাবাহিনীও।

গতকাল সোমবার (৫ মে) বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হয়।

খালেদা জিয়া গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যান। সেখানে লন্ডন ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতার কথা জেনে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি তার যুক্তরাজ্য গমনের জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়েছিলেন। সেটিতেই লন্ডন যান এবং একই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দেশে ফিরেছেন।