ভারত ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে একটি সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছে। এই অভিযানে পাকিস্তান এবং পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।

এই হামলার প্রেক্ষাপট তৈরি হয় কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর, যেখানে ২৬ জন নিরীহ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। ভারত এই হামলার জন্য সরাসরি পাকিস্তানকেই দায়ী করেছে, যদিও ইসলামাবাদ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এই পরিস্থিতিতে ভারতের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে ইসরায়েল। ভারতে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত রেউভেন আজার এক্সে দেওয়া এক বার্তায় স্পষ্ট ভাষায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ভারতের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের জানা উচিত যে তাদের জঘন্য অপরাধের কোনো নিরাপদ আশ্রয় নেই।

তবে আন্তর্জাতিক মহলে এই ঘটনায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তুরস্কের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের প্রতি সমর্থন জানানো হয়েছে। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দারকে ফোন করে এই ভারতীয় হামলাকে ‘অপ্রস্তুত আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তুরস্ক আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং পাকিস্তানের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে।

অন্যদিকে, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এই সামরিক অভিযান নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক জানিয়েছেন, নিয়ন্ত্রণ রেখা ও আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের এই পদক্ষেপ মহাসচিবকে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন করেছে এবং তিনি উভয় পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এটিকে ‘খুবই দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি ভারত ও পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের সংঘাতের কথা উল্লেখ করে আশা প্রকাশ করেছেন যে পরিস্থিতি দ্রুত শান্ত হবে।