ঢাকা ০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫

কেন এই অভিযানের নাম অপারেশন সিঁদুর

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০১:১৪:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫
  • / ২৬২ বার পড়া হয়েছে

ভারতীয় সেনাবাহিনীর বুধবার রাতের অভিযানের নামকরণই এখন আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষণের কেন্দ্রবিন্দুতে।
এই অভিযানের নাম— অপারেশন সিঁদুর। ৬ মে মধ্যরাতে, পাকিস্তানের অধিকৃত আজাদ কাশ্মিরসহ নয়টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত।

ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে—এই হামলা ছিল সুনির্দিষ্ট এবং প্রতিশোধমূলক। এই অভিযানের পেছনে শুধু কৌশলগত উদ্দেশ্যই নয়, ছিল এক গভীর সাংস্কৃতিক বার্তা।

‘সিঁদুর’—একটি শব্দ, যা হিন্দু নারীদের বিবাহিত জীবনের সৌভাগ্য, সম্মান এবং আত্মত্যাগের প্রতীক।
একইসাথে, এটি রক্তের প্রতীক—যা সাহস, ত্যাগ এবং জাতীয় প্রতিজ্ঞার প্রতিফলন।

সামরিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন—এই নামকরণের মাধ্যমে ভারত বলেছে, এটি শুধু একটি সামরিক প্রতিরোধ নয়,
বরং এটি নিহত সেনাদের রক্তের প্রতিশোধ এবং জাতীয় গৌরব রক্ষার প্রতিজ্ঞা।

‘সিঁদুর’ শব্দটি শুধু সংস্কার নয়, এটি সিন্ধু সভ্যতার সাথেও সাংস্কৃতিকভাবে জড়িয়ে আছে—
যার শিকড় প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত।

ভারতের হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানায় পাকিস্তান।
দেশটির সেনাবাহিনী দাবি করে—তারা পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে।
এছাড়াও, নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চলছে তীব্র গোলাগুলি ও পাল্টা হামলা।

পাকিস্তানের আইএসপিআরের প্রধান জানান, দেশটির বিমানবাহিনী পুরোপুরি সতর্ক এবং প্রস্তুত।

‘অপারেশন সিঁদুর’—এখন শুধু একটি সামরিক অভিযানের নাম নয়।
এটি এক প্রতীকি বার্তা।
একদিকে প্রতিশোধ, অন্যদিকে সংস্কৃতি ও সম্মানের সীমানা টানা এক কৌশলী ঘোষণা।

নিউজটি শেয়ার করুন

কেন এই অভিযানের নাম অপারেশন সিঁদুর

আপডেট সময় ০১:১৪:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

ভারতীয় সেনাবাহিনীর বুধবার রাতের অভিযানের নামকরণই এখন আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষণের কেন্দ্রবিন্দুতে।
এই অভিযানের নাম— অপারেশন সিঁদুর। ৬ মে মধ্যরাতে, পাকিস্তানের অধিকৃত আজাদ কাশ্মিরসহ নয়টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত।

ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে—এই হামলা ছিল সুনির্দিষ্ট এবং প্রতিশোধমূলক। এই অভিযানের পেছনে শুধু কৌশলগত উদ্দেশ্যই নয়, ছিল এক গভীর সাংস্কৃতিক বার্তা।

‘সিঁদুর’—একটি শব্দ, যা হিন্দু নারীদের বিবাহিত জীবনের সৌভাগ্য, সম্মান এবং আত্মত্যাগের প্রতীক।
একইসাথে, এটি রক্তের প্রতীক—যা সাহস, ত্যাগ এবং জাতীয় প্রতিজ্ঞার প্রতিফলন।

সামরিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন—এই নামকরণের মাধ্যমে ভারত বলেছে, এটি শুধু একটি সামরিক প্রতিরোধ নয়,
বরং এটি নিহত সেনাদের রক্তের প্রতিশোধ এবং জাতীয় গৌরব রক্ষার প্রতিজ্ঞা।

‘সিঁদুর’ শব্দটি শুধু সংস্কার নয়, এটি সিন্ধু সভ্যতার সাথেও সাংস্কৃতিকভাবে জড়িয়ে আছে—
যার শিকড় প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত।

ভারতের হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানায় পাকিস্তান।
দেশটির সেনাবাহিনী দাবি করে—তারা পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে।
এছাড়াও, নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চলছে তীব্র গোলাগুলি ও পাল্টা হামলা।

পাকিস্তানের আইএসপিআরের প্রধান জানান, দেশটির বিমানবাহিনী পুরোপুরি সতর্ক এবং প্রস্তুত।

‘অপারেশন সিঁদুর’—এখন শুধু একটি সামরিক অভিযানের নাম নয়।
এটি এক প্রতীকি বার্তা।
একদিকে প্রতিশোধ, অন্যদিকে সংস্কৃতি ও সম্মানের সীমানা টানা এক কৌশলী ঘোষণা।