ঢাকা ০৭:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫

ভারতের হামলায় পাকিস্তানে মাসুদ আজহারের পরিবারের ১০ সদস্য নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০৬:১১:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫
  • / ২৬২ বার পড়া হয়েছে

পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরের ‘সুবহান আল্লাহ’ মসজিদে ভারতের হামলায় মাওলানা মাসুদ আজহারের পরিবারের ১০ সদস্য ও চারজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।পাকিস্তানভিত্তিক জয়শ-ই-মোহাম্মদের (জেইএম) পক্ষ থেকে বুধবার (৭ মে) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। মাওলানা মাসুদ আজহার জয়শ-ই-মোহাম্মদ সংগঠনটির প্রধান।

জাতিসংঘ মাসুদ আজহারকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছিল। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে মাসুদ আজহারের পরিবারের পাঁচ শিশুসহ বড় বোন, বড় বোনের স্বামী, ভাতিজা ও ভাতিজার স্ত্রী, ভাতিজি রয়েছে। হামলার বিষয়ে ভারত বা পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ কোনো মন্তব্য করেনি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

তবে হামলার বিষয়ে জয়শ-ই-মোহাম্মদের বিবৃতিতে জানা যায়, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে মাসুদ আজহারের বড় বোন, বড় বোনের স্বামী, ভাতিজা ও ভাতিজার স্ত্রী, ভাতিজি এবং পরিবারের পাঁচ শিশুও রয়েছে।

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় এক হামলায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান নিহত হন। এ ঘটনার মামলায় অভিযোগপত্রে ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ দাবি করেছিল, জয়শ-ই-মোহাম্মদের প্রধান মাওলানা মাসুদ আজহার ও তার ভাই আবদুর রউফ আসগর ওই নাশকতা ঘটিয়েছে।

পুলওয়ামায় হামলার পরও ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে চলে গিয়েছিল। জেইএমের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, হামলায় মাসুদ আজহারের তিন ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং তাদের একজনের মা নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (৬ মে) মধ্যরাতের পর পাকিস্তানের কয়েকটি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত পাকিস্তানের নয়টি ‘সন্ত্রাসবাদী অবকাঠামো’ ক্ষেত্রে হামলা চালানোর দাবি করেছে।
তবে ইসলামাবাদ বলেছে, পাকিস্তানের যে নয়টি স্থানে হামলা হয়েছে তার কোনোটি ‘জঙ্গি’ শিবির না।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারতের হামলায় পাকিস্তানে মাসুদ আজহারের পরিবারের ১০ সদস্য নিহত

আপডেট সময় ০৬:১১:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরের ‘সুবহান আল্লাহ’ মসজিদে ভারতের হামলায় মাওলানা মাসুদ আজহারের পরিবারের ১০ সদস্য ও চারজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।পাকিস্তানভিত্তিক জয়শ-ই-মোহাম্মদের (জেইএম) পক্ষ থেকে বুধবার (৭ মে) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। মাওলানা মাসুদ আজহার জয়শ-ই-মোহাম্মদ সংগঠনটির প্রধান।

জাতিসংঘ মাসুদ আজহারকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছিল। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে মাসুদ আজহারের পরিবারের পাঁচ শিশুসহ বড় বোন, বড় বোনের স্বামী, ভাতিজা ও ভাতিজার স্ত্রী, ভাতিজি রয়েছে। হামলার বিষয়ে ভারত বা পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ কোনো মন্তব্য করেনি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

তবে হামলার বিষয়ে জয়শ-ই-মোহাম্মদের বিবৃতিতে জানা যায়, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে মাসুদ আজহারের বড় বোন, বড় বোনের স্বামী, ভাতিজা ও ভাতিজার স্ত্রী, ভাতিজি এবং পরিবারের পাঁচ শিশুও রয়েছে।

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় এক হামলায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান নিহত হন। এ ঘটনার মামলায় অভিযোগপত্রে ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ দাবি করেছিল, জয়শ-ই-মোহাম্মদের প্রধান মাওলানা মাসুদ আজহার ও তার ভাই আবদুর রউফ আসগর ওই নাশকতা ঘটিয়েছে।

পুলওয়ামায় হামলার পরও ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে চলে গিয়েছিল। জেইএমের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, হামলায় মাসুদ আজহারের তিন ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং তাদের একজনের মা নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (৬ মে) মধ্যরাতের পর পাকিস্তানের কয়েকটি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত পাকিস্তানের নয়টি ‘সন্ত্রাসবাদী অবকাঠামো’ ক্ষেত্রে হামলা চালানোর দাবি করেছে।
তবে ইসলামাবাদ বলেছে, পাকিস্তানের যে নয়টি স্থানে হামলা হয়েছে তার কোনোটি ‘জঙ্গি’ শিবির না।