ঢাকা ১২:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

হজে গিয়ে ২৬ বাংলাদেশির মৃত্যু

মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন
  • আপডেট সময় ১২:১২:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫
  • / ২৫৮ বার পড়া হয়েছে

হজ পালনে সৌদি আরবে গিয়ে এ পর্যন্ত ২৬ জন বাংলাদেশি মারা গিয়েছেন। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার (১২ জুন) নোয়াখালীর চাটখিলের খাতিজা বেগম (৪১) সহ আরও ৪ জন বাংলাদেশি ইন্তেকাল করেছেন।

এ নিয়ে চলতি বছর পবিত্র হজ পালনে গিয়ে এখন পর্যন্ত ২৬ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৩ জন পুরুষ এবং ৩ জন নারী। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

এই ২৬ জনের মধ্যে ১৭ জন মক্কায়, ৮ জন মদিনায় এবং ১ জন আরাফায় ইন্তেকাল করেছেন। এই স্থানগুলো হজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যেখানে লক্ষ লক্ষ মুসল্লি মহান আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকেন। পবিত্র ভূমিতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করা যদিও অনেকের জন্য কাম্য, তবে একসাথে এতগুলো মৃত্যুর খবর শোকাবহ।

এবার হজে হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাত্রার প্রথম ফ্লাইট ছিল গত ২৯ এপ্রিল, আর শেষ ফ্লাইটটি ঢাকা ছেড়েছিল ৩১ মে। অর্থাৎ, এই ২৬ জন বাংলাদেশি বিভিন্ন সময়ে যাত্রা করেছিলেন। গত ২৯ এপ্রিল রাজবাড়ীর পাংশার মো. খলিলুর রহমান (৭০) প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ইন্তেকাল করেন। এরপর থেকে ধাপে ধাপে এই দুঃখজনক খবরগুলো আসতে থাকে।

নিহতদের মধ্যে রয়েছেন কিশোরগঞ্জের মো. ফরিদুজ্জামান, পঞ্চগড়ের আল হামিদা বানু, ঢাকার মো. শাহজাহান কবির, জামালপুরের হাফেজ উদ্দিন, নীলফামারীর বয়েজ উদ্দিন, চট্টগ্রামের মো. অহিদুর রহমান, গাজীপুরের মো. জয়নাল হোসেন, চাঁদপুরের আ. হান্নান মোল্লা এবং রংপুরের মো. সাহেব উদ্দিন। এছাড়াও রয়েছেন চাঁদপুরের বশির হোসাইন, শাহাদাত হোসেন, জয়পুরহাটের মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মাদারীপুরের মোজলেম হাওলাদার, গাজীপুরের আবুল কালাম আজাদ, নওগাঁর মো. আবুল হোসেন, গাজীপুরের মো. মফিজ উদ্দিন দেওয়ান, নীলফামারীর মো. জাহিদুল ইসলাম। সম্প্রতি যারা ইন্তেকাল করেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকার মনোয়ারা বেগম মুনিয়া, খুলনার শেখ মো. ইমারুল ইসলাম, নোয়াখালীর মো. মুজিব উল্যা, গাইবান্ধার এ টি এম খায়রুল বাসার মন্ডল, সিরাজগঞ্জের গোলাম মোস্তফা, লালমনিরহাটের আমির হামজা এবং ময়মনসিংহের মো. মনিরুজ্জামান।

সাধারণত, হজের সময় বয়স্ক ও অসুস্থ হজযাত্রীদের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি বেশি থাকে। সৌদি আরবের তীব্র গরম এবং হজের কঠোর পরিশ্রমের কারণে অনেক সময় শারীরিক ধকল সহ্য করা কঠিন হয়ে পড়ে। হজ কর্তৃপক্ষ হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নানা পদক্ষেপ নিলেও, প্রাকৃতিক কারণে বা পূর্বেকার অসুস্থতার জেরে এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে।

চলতি বছর চাঁদ দেখা সাপেক্ষে গত ৫ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট গত ১০ জুন দেশে ফেরে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত প্রায় ১২ হাজার ৮৭৭ জন হাজি সুস্থভাবে দেশে ফিরেছেন। আগামী ১০ জুলাই হজযাত্রীদের শেষ ফিরতি ফ্লাইট।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

হজে গিয়ে ২৬ বাংলাদেশির মৃত্যু

আপডেট সময় ১২:১২:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫

হজ পালনে সৌদি আরবে গিয়ে এ পর্যন্ত ২৬ জন বাংলাদেশি মারা গিয়েছেন। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার (১২ জুন) নোয়াখালীর চাটখিলের খাতিজা বেগম (৪১) সহ আরও ৪ জন বাংলাদেশি ইন্তেকাল করেছেন।

এ নিয়ে চলতি বছর পবিত্র হজ পালনে গিয়ে এখন পর্যন্ত ২৬ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৩ জন পুরুষ এবং ৩ জন নারী। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

এই ২৬ জনের মধ্যে ১৭ জন মক্কায়, ৮ জন মদিনায় এবং ১ জন আরাফায় ইন্তেকাল করেছেন। এই স্থানগুলো হজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যেখানে লক্ষ লক্ষ মুসল্লি মহান আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকেন। পবিত্র ভূমিতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করা যদিও অনেকের জন্য কাম্য, তবে একসাথে এতগুলো মৃত্যুর খবর শোকাবহ।

এবার হজে হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাত্রার প্রথম ফ্লাইট ছিল গত ২৯ এপ্রিল, আর শেষ ফ্লাইটটি ঢাকা ছেড়েছিল ৩১ মে। অর্থাৎ, এই ২৬ জন বাংলাদেশি বিভিন্ন সময়ে যাত্রা করেছিলেন। গত ২৯ এপ্রিল রাজবাড়ীর পাংশার মো. খলিলুর রহমান (৭০) প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ইন্তেকাল করেন। এরপর থেকে ধাপে ধাপে এই দুঃখজনক খবরগুলো আসতে থাকে।

নিহতদের মধ্যে রয়েছেন কিশোরগঞ্জের মো. ফরিদুজ্জামান, পঞ্চগড়ের আল হামিদা বানু, ঢাকার মো. শাহজাহান কবির, জামালপুরের হাফেজ উদ্দিন, নীলফামারীর বয়েজ উদ্দিন, চট্টগ্রামের মো. অহিদুর রহমান, গাজীপুরের মো. জয়নাল হোসেন, চাঁদপুরের আ. হান্নান মোল্লা এবং রংপুরের মো. সাহেব উদ্দিন। এছাড়াও রয়েছেন চাঁদপুরের বশির হোসাইন, শাহাদাত হোসেন, জয়পুরহাটের মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মাদারীপুরের মোজলেম হাওলাদার, গাজীপুরের আবুল কালাম আজাদ, নওগাঁর মো. আবুল হোসেন, গাজীপুরের মো. মফিজ উদ্দিন দেওয়ান, নীলফামারীর মো. জাহিদুল ইসলাম। সম্প্রতি যারা ইন্তেকাল করেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকার মনোয়ারা বেগম মুনিয়া, খুলনার শেখ মো. ইমারুল ইসলাম, নোয়াখালীর মো. মুজিব উল্যা, গাইবান্ধার এ টি এম খায়রুল বাসার মন্ডল, সিরাজগঞ্জের গোলাম মোস্তফা, লালমনিরহাটের আমির হামজা এবং ময়মনসিংহের মো. মনিরুজ্জামান।

সাধারণত, হজের সময় বয়স্ক ও অসুস্থ হজযাত্রীদের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি বেশি থাকে। সৌদি আরবের তীব্র গরম এবং হজের কঠোর পরিশ্রমের কারণে অনেক সময় শারীরিক ধকল সহ্য করা কঠিন হয়ে পড়ে। হজ কর্তৃপক্ষ হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নানা পদক্ষেপ নিলেও, প্রাকৃতিক কারণে বা পূর্বেকার অসুস্থতার জেরে এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে।

চলতি বছর চাঁদ দেখা সাপেক্ষে গত ৫ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট গত ১০ জুন দেশে ফেরে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত প্রায় ১২ হাজার ৮৭৭ জন হাজি সুস্থভাবে দেশে ফিরেছেন। আগামী ১০ জুলাই হজযাত্রীদের শেষ ফিরতি ফ্লাইট।