ঢাকা ০১:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

অবরুদ্ধ নুরকে গভীর রাতে সেনাবাহিনীর উদ্ধার

জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় ১২:৪১:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫
  • / ২৫৬ বার পড়া হয়েছে

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চার কাজল ইউনিয়নে রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে! বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে হামলা-পালটা হামলা ও ভাঙচুরে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত চার কাজল ইউনিয়নে দুই দলের পালটাপালটি হামলার ঘটনা ঘটে। বিএনপি নেতাকর্মীরা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে বকুলবাড়িয়া এলাকায় রাত ১১টা থেকে অবরুদ্ধ করে রাখে।

রাস্তায় গাছ ফেলে, গুলতি, লোহার রড ও রামদা নিয়ে পথরোধ করা হয়। এ সময় দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। মধ্যরাতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভিপি নুরকে উদ্ধার করে।

এই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঈদুল আজহার পর গলাচিপা ও দশমিনায় গণঅধিকার পরিষদের সমাবেশে ভিপি নুরের স্থানীয় বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে বক্তব্য থেকে। এর জেরে বুধবার রাতে বিএনপি নেতাকর্মীরা চার কাজলে বিক্ষোভ করে।

প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার গণঅধিকার পরিষদ বিএনপির কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এরপর পালটাপালটি বিক্ষোভ ও সমাবেশে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পুরো গলাচিপা।

ভিপি নুর ফেসবুকে দাবি করেন, বিএনপি নেতা হাসান মামুনের অনুসারীরা তার উপর হামলা করেছে। তিনি বলেন, “এমন হামলা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগও করেনি। নতুন স্বাধীনতার পর এই ঘটনায় জাতি লজ্জিত।”

অন্যদিকে, গণঅধিকার পরিষদের পটুয়াখালী জেলা শাখা জানায়, বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের কার্যালয় ভাঙচুর করেছে এবং নুরের ছোট ভাই আমিনুলসহ ২৫-৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি বলেন, “পটুয়াখালী শান্ত জেলা। ভিপি নুরের উসকানিমূলক বক্তব্য ও গণঅধিকার পরিষদের হামলার কারণে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছে। তবে আমরা সবাইকে শান্ত থাকার নির্দেশ দিয়েছি।”

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

অবরুদ্ধ নুরকে গভীর রাতে সেনাবাহিনীর উদ্ধার

আপডেট সময় ১২:৪১:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চার কাজল ইউনিয়নে রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে! বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে হামলা-পালটা হামলা ও ভাঙচুরে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত চার কাজল ইউনিয়নে দুই দলের পালটাপালটি হামলার ঘটনা ঘটে। বিএনপি নেতাকর্মীরা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে বকুলবাড়িয়া এলাকায় রাত ১১টা থেকে অবরুদ্ধ করে রাখে।

রাস্তায় গাছ ফেলে, গুলতি, লোহার রড ও রামদা নিয়ে পথরোধ করা হয়। এ সময় দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। মধ্যরাতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভিপি নুরকে উদ্ধার করে।

এই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঈদুল আজহার পর গলাচিপা ও দশমিনায় গণঅধিকার পরিষদের সমাবেশে ভিপি নুরের স্থানীয় বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে বক্তব্য থেকে। এর জেরে বুধবার রাতে বিএনপি নেতাকর্মীরা চার কাজলে বিক্ষোভ করে।

প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার গণঅধিকার পরিষদ বিএনপির কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এরপর পালটাপালটি বিক্ষোভ ও সমাবেশে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পুরো গলাচিপা।

ভিপি নুর ফেসবুকে দাবি করেন, বিএনপি নেতা হাসান মামুনের অনুসারীরা তার উপর হামলা করেছে। তিনি বলেন, “এমন হামলা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগও করেনি। নতুন স্বাধীনতার পর এই ঘটনায় জাতি লজ্জিত।”

অন্যদিকে, গণঅধিকার পরিষদের পটুয়াখালী জেলা শাখা জানায়, বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের কার্যালয় ভাঙচুর করেছে এবং নুরের ছোট ভাই আমিনুলসহ ২৫-৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি বলেন, “পটুয়াখালী শান্ত জেলা। ভিপি নুরের উসকানিমূলক বক্তব্য ও গণঅধিকার পরিষদের হামলার কারণে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছে। তবে আমরা সবাইকে শান্ত থাকার নির্দেশ দিয়েছি।”