ঢাকা ০১:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

ইসরায়েল পরিণতি হবে ভয়াবহ: খামেনির হুঁশিয়ারি

ঢাকা প্রেস ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৫৩:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫
  • / ২৫২ বার পড়া হয়েছে

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দেয়া বক্তব্যে রীতিমতো আগুন ঝরালেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। ইরানের ওপর ব্যাপক বিমান হামলার পর এক কড়া হুঁশিয়ারিতে খামেনি বলেছেন—”ইসরায়েল এমন এক পথ বেছে নিয়েছে, যার পরিণতি হবে করুণ। তারা এর ফল নিশ্চিতভাবেই ভোগ করবে।”

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের বরাতে জানা যায়, খামেনির বক্তব্যে স্পষ্ট—এই হামলা ছিল একপাক্ষিক আগ্রাসন, এবং তা ইসরায়েলের বর্বর স্বভাবের প্রতিফলন।

এই মন্তব্য আসে এমন এক সময়ে, যখন ইসরায়েল দাবি করেছে—তাদের হামলা ছিল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ওপর।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানান, তেহরান থেকে ২২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নাতানজ শহরে আঘাত হানা হয়েছে—যেখানে রয়েছে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র।

নেতানিয়াহু আরও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানীরা এখন তাদের টার্গেটে রয়েছেন, এবং যতদিন দরকার, অভিযান চলবে।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর তথ্যমতে, এই অভিযানে অংশ নিয়েছে ২০০টিরও বেশি যুদ্ধবিমান, হামলা হয়েছে ১০০টির বেশি স্থাপনায়, ছোড়া হয়েছে ৩৩০টির বেশি মারণাস্ত্র।

ইতোমধ্যে ইরানও পাল্টা জবাব দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। কিছু আন্তর্জাতিক সূত্র বলছে, ইরান থেকে বেশ কয়েকটি ড্রোন উৎক্ষেপণ করা হয়েছে, তবে সেগুলো ইসরায়েল পর্যন্ত কবে পৌঁছাবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতি এখন শুধু উত্তেজনা নয়—যুদ্ধের একদম দ্বারপ্রান্তে। এখন প্রশ্ন, এই সংঘর্ষ কতদূর গড়াবে? বিশ্ব কি সামনে দেখতে চলেছে মধ্যপ্রাচ্যের আরেকটি যুদ্ধ?

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ইসরায়েল পরিণতি হবে ভয়াবহ: খামেনির হুঁশিয়ারি

আপডেট সময় ১২:৫৩:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দেয়া বক্তব্যে রীতিমতো আগুন ঝরালেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। ইরানের ওপর ব্যাপক বিমান হামলার পর এক কড়া হুঁশিয়ারিতে খামেনি বলেছেন—”ইসরায়েল এমন এক পথ বেছে নিয়েছে, যার পরিণতি হবে করুণ। তারা এর ফল নিশ্চিতভাবেই ভোগ করবে।”

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের বরাতে জানা যায়, খামেনির বক্তব্যে স্পষ্ট—এই হামলা ছিল একপাক্ষিক আগ্রাসন, এবং তা ইসরায়েলের বর্বর স্বভাবের প্রতিফলন।

এই মন্তব্য আসে এমন এক সময়ে, যখন ইসরায়েল দাবি করেছে—তাদের হামলা ছিল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ওপর।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানান, তেহরান থেকে ২২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নাতানজ শহরে আঘাত হানা হয়েছে—যেখানে রয়েছে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র।

নেতানিয়াহু আরও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানীরা এখন তাদের টার্গেটে রয়েছেন, এবং যতদিন দরকার, অভিযান চলবে।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর তথ্যমতে, এই অভিযানে অংশ নিয়েছে ২০০টিরও বেশি যুদ্ধবিমান, হামলা হয়েছে ১০০টির বেশি স্থাপনায়, ছোড়া হয়েছে ৩৩০টির বেশি মারণাস্ত্র।

ইতোমধ্যে ইরানও পাল্টা জবাব দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। কিছু আন্তর্জাতিক সূত্র বলছে, ইরান থেকে বেশ কয়েকটি ড্রোন উৎক্ষেপণ করা হয়েছে, তবে সেগুলো ইসরায়েল পর্যন্ত কবে পৌঁছাবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতি এখন শুধু উত্তেজনা নয়—যুদ্ধের একদম দ্বারপ্রান্তে। এখন প্রশ্ন, এই সংঘর্ষ কতদূর গড়াবে? বিশ্ব কি সামনে দেখতে চলেছে মধ্যপ্রাচ্যের আরেকটি যুদ্ধ?