ঢাকা ০১:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫
ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

মুহূর্তেই শেষ একটি পরিবারের স্বপ্ন!

ঢাকা প্রেস ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৪৩:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫
  • / ২৬২ বার পড়া হয়েছে

প্রতীক জোশী, একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। গত ছয় বছর ধরে তিনি লন্ডনে থাকতেন। তার একমাত্র স্বপ্ন ছিল—স্ত্রী আর তিনটি ছোট সন্তানকে নিয়ে লন্ডনে একটি সুন্দর জীবন গড়ে তোলা।

তার পরিবার তখনো ছিল ভারতে, আর তিনি প্রবাসে সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছিলেন। বছরের পর বছর ধরে চলছিল কাগজপত্র তৈরি, ভিসা প্রক্রিয়াকরণ এবং অপেক্ষার পালা।

অবশেষে, প্রতীকের জীবনে এসেছিলো সেই স্বপ্ন পূরণের কাঙ্খিত সময়। মাত্র দুই দিন আগে তার স্ত্রী ডা. কোমি ভারতে তার দীর্ঘদিনের চাকরি ছেড়ে দেন। পরিবারের সবাই মিলে তাদের সব ব্যাগ গুছিয়ে ফেলেন।

প্রিয়জনদের কাছ থেকে বিদায় নেওয়া হয়। নতুন জীবনের পথে যাত্রা শুরুর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন! তাদের চোখে ছিল শুধুই আনন্দের ঝিলিক আর নতুন জীবনের হাতছানি।

বৃহস্পতিবার সকালে, অফুরন্ত আনন্দ আর আশা নিয়ে প্রতীক, তার স্ত্রী এবং তিনটি ছোট সন্তান এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট ১৭১-এ ওঠেন লন্ডনের উদ্দেশ্যে।

প্লেনে ওঠার আগে তারা হাসিমুখে একটি সেলফি তোলে, আত্মীয়দের কাছে পাঠায়। নতুন জীবনের এই শুরুটা ছিল তাদের কাছে স্বপ্নের মতো। কে জানতো, এটাই হবে তাদের শেষ ছবি?

কিন্তু তারা আর লন্ডনে পৌঁছাতে পারেননি। বিমান আকাশে উড়ার কয়েক মুহূর্ত পরই মাঝ আকাশে বিমানটি এক ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পড়ে। মাত্র কয়েক সেকেন্ডে সব শেষ হয়ে যায়। প্রতীক, তার স্ত্রী এবং তিনটি শিশু সন্তান—পাঁচজনের কেউই আর বেঁচে নেই। জীবনভর লালন করা একটি স্বপ্ন মুহূর্তেই ছারখার হয়ে গেল।

একটি পরিবারের সারাজীবনের স্বপ্ন, তাদের হাসি-খুশি মুহূর্তগুলো, সব মিলিয়ে গেল একটি দুর্ঘটনায়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

মুহূর্তেই শেষ একটি পরিবারের স্বপ্ন!

আপডেট সময় ০১:৪৩:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫

প্রতীক জোশী, একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। গত ছয় বছর ধরে তিনি লন্ডনে থাকতেন। তার একমাত্র স্বপ্ন ছিল—স্ত্রী আর তিনটি ছোট সন্তানকে নিয়ে লন্ডনে একটি সুন্দর জীবন গড়ে তোলা।

তার পরিবার তখনো ছিল ভারতে, আর তিনি প্রবাসে সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছিলেন। বছরের পর বছর ধরে চলছিল কাগজপত্র তৈরি, ভিসা প্রক্রিয়াকরণ এবং অপেক্ষার পালা।

অবশেষে, প্রতীকের জীবনে এসেছিলো সেই স্বপ্ন পূরণের কাঙ্খিত সময়। মাত্র দুই দিন আগে তার স্ত্রী ডা. কোমি ভারতে তার দীর্ঘদিনের চাকরি ছেড়ে দেন। পরিবারের সবাই মিলে তাদের সব ব্যাগ গুছিয়ে ফেলেন।

প্রিয়জনদের কাছ থেকে বিদায় নেওয়া হয়। নতুন জীবনের পথে যাত্রা শুরুর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন! তাদের চোখে ছিল শুধুই আনন্দের ঝিলিক আর নতুন জীবনের হাতছানি।

বৃহস্পতিবার সকালে, অফুরন্ত আনন্দ আর আশা নিয়ে প্রতীক, তার স্ত্রী এবং তিনটি ছোট সন্তান এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট ১৭১-এ ওঠেন লন্ডনের উদ্দেশ্যে।

প্লেনে ওঠার আগে তারা হাসিমুখে একটি সেলফি তোলে, আত্মীয়দের কাছে পাঠায়। নতুন জীবনের এই শুরুটা ছিল তাদের কাছে স্বপ্নের মতো। কে জানতো, এটাই হবে তাদের শেষ ছবি?

কিন্তু তারা আর লন্ডনে পৌঁছাতে পারেননি। বিমান আকাশে উড়ার কয়েক মুহূর্ত পরই মাঝ আকাশে বিমানটি এক ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পড়ে। মাত্র কয়েক সেকেন্ডে সব শেষ হয়ে যায়। প্রতীক, তার স্ত্রী এবং তিনটি শিশু সন্তান—পাঁচজনের কেউই আর বেঁচে নেই। জীবনভর লালন করা একটি স্বপ্ন মুহূর্তেই ছারখার হয়ে গেল।

একটি পরিবারের সারাজীবনের স্বপ্ন, তাদের হাসি-খুশি মুহূর্তগুলো, সব মিলিয়ে গেল একটি দুর্ঘটনায়।