গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে নারীদের উত্ত্যক্ত করাকে কেন্দ্র করে মাদারীপুর সদর উপজেলায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় মস্তফাপুর ইউনিয়নের সুচিয়ার ভাঙ্গা ও উত্তর খাগছাড়া গ্রামের দুই গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।

এ সময় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। এছাড়াও ১০ দোকানপাট ও ঘর-বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহতরা হলেন মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের সুচিয়া ভাঙ্গা গ্রামের আলামিন সন্ন্যামাত (১৮), জামাল ঢালী (১৮), অলিল ঢালী (১৯), শাহ আলম সন্ন্যামাত (১৮), একই ইউনিয়নের উত্তর খাগছাড়া গ্রামের রেজাউল চৌকিদার (১৭), কাওয়াসার তালুকদার (১৬), কামাল হোসেন (২০), সাব্বির শিকদার (১৮), শুভ কাজী (১৭), রোমান কাজী (১৮) প্রমুখ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উত্তর খাগছাড়া গ্রামের কাওসার তালুকদারের মেয়ে লামইয়া আক্তারের বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে বুধবার (১১ জুন) সন্ধ্যায় গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে নাচার জন্য মস্তফাপুর ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাগর ব্যাপারী ও অপর একই ইউনিয়নের উত্তর খাগছাড়া গ্রামের হাকিম কাজীর লোকজন আসেন। এ সময় উপস্থিত মেয়েদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে ওই দুই গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। পরে এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় উভয় পক্ষের লোকজন উত্তর খাকছাড়া নতুন বাজারে শালিস মীমাংসায় বসেন। এই সময় উভয় পক্ষের লোকজন উত্তেজিত হয়ে যায়। একপর্যায়ে উত্তর খাগছাড়া ও সুচিয়ার ভাঙ্গা দুই গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের ১০ জন আহত ও বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায়। এছাড়াও ১০টির মতো দোকান ও বসতঘরে ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় মো. রাজ্জাক বলেন, সালিশের সময় দুই পক্ষেই উত্তেজিত হয়ে পড়ে। পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।