ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে দুই দিন ধরে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে। গতকাল শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’র নাম দিয়ে ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় ব্যাপক হামলা চালায় ইসরায়েল। এর পাল্টা জবাব দিতে ইরানও ইসরায়েলের তেলআবিবসহ বিভিন্ন স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।

তবে এবার শুধু ইসরায়েল নয় বিশ্বের তিন পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সের ঘাঁটি ও জাহাজে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে ইরান। এটি হলে কার্যত তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লেগে পড়ার মতো আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলা ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য বা ফ্রান্স হস্তক্ষেপ করলে এই দেশগুলোর আঞ্চলিক সামরিক ঘাঁটি ও নৌবাহিনীর জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হবে।

তবে যুক্তরাজ্য এ বিষয়ে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। এমনকি তারা কোনো ধরনের সামরিক পদক্ষেপে জড়ায়নি। ইসরায়েলকে রক্ষার প্রচেষ্টাতেও অংশ নেয়নি লন্ডন। বরং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার সংঘাতপূর্ণ দুই দেশের উত্তেজনা প্রশমনের ওপর জোর দিয়েছেন। তবে গতকাল শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, আমেরিকা ইসরায়েলকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে।

একই সুরে কথা বলেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তিনি বলেন, তার দেশ ফ্রান্স ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে।

এদিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ ইরানকে আবারও হামলা চালানো নিয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ইরান যদি ইসরায়েলে আর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তবে পাল্টা হামলা চালিয়ে তেহরানকে জ্বালিয়ে দেওয়া হবে।

এর আগে গতকাল শুক্রবার ইসরায়েলের এ হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর প্রধান হোসেইন সালামি, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, খাতাম-আল-আনবিয়া হেডকোয়ার্টারের প্রধান গোলাম আলি রাশিদ ও আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান কমান্ডার আমির আলী হাজিজাদেহ নিহত হন।