ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে ব্যর্থ, ডাচ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ

- আপডেট সময় ০১:১২:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৬০ বার পড়া হয়েছে
ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসন এবং পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপে ব্যর্থ হওয়ায় পদত্যাগ করেছেন নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাসপার ফেল্ডক্যাম্প। শুক্রবার (২২ আগস্ট) কেন্দ্র-ডানপন্থী নিউ সোশ্যাল কন্ট্রাক্ট দলের এই নেতা জানান, তিনি অর্থবহ পদক্ষেপে ঐকমত্য আনতে পারেননি এবং মন্ত্রিসভায় তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়েছেন। এই তথ্য জানিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।
ফেল্ডক্যাম্প বলেন, “আমি গাজায় ইসরায়েলি হামলা, পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি ই১ নির্মাণ এবং পূর্ব জেরুজালেমের দখলদারিত্ব দেখছি। এসবের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ ছাড়া আর দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়।” তিনি ইসরায়েলের দুই মন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ ও ইতামার বেন-গভিরের ভ্রমণ নিষিদ্ধ করেন এবং নৌবাহিনীর জাহাজের যন্ত্রাংশের তিনটি রপ্তানি অনুমতি বাতিল করেন। তিনি সতর্ক করেছিলেন যে, গাজার পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে এবং এই অস্ত্র অবাঞ্ছিত উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হতে পারে।
ফেল্ডক্যাম্পের পদত্যাগের পর তার দলের সব মন্ত্রী ও রাষ্ট্রমন্ত্রীও সংহতি জানিয়ে সরে দাঁড়ান। এর ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নে কূটনৈতিক অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, বিশেষত ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনা চলাকালীন সময়ে। ডাচ পার্লামেন্টের বিরোধী দলগুলো দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞার দাবি জানিয়ে আসছিল। ফেল্ডক্যাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ইসরায়েলের বাণিজ্য চুক্তি স্থগিতের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কিন্তু জার্মানির বিরোধিতার কারণে তা আটকে যায়। এতে তিনি হতাশ হন এবং নেদারল্যান্ডসকে এককভাবে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার দাবিও জোরদার হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, রটারডাম বন্দরে প্রায়ই এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ নিয়ে জাহাজ ভিড়ে, যা পরে ইসরায়েলি হামলায় ব্যবহৃত হয়। এই এফ-৩৫ বিমানের আঘাতে গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে নেদারল্যান্ডস ২১টি দেশের সঙ্গে যৌথভাবে ইসরায়েলের পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণকে আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী বলে নিন্দা জানায়।