ঢাকা ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

    চট্টগ্রামে শহীদ পরিবারদের সঙ্গে সাক্ষাতে আবেগঘন বার্তা দিলেন নাহিদ ইসলাম

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৫:৩৪:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫
    • / ২৬২ বার পড়া হয়েছে

    চট্টগ্রামে জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমরা অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে আছি। গোপালগঞ্জে আমাদের সঙ্গে কী ঘটেছে, তা আপনারা দেখেছেন। নানা স্থানে আমাদের পথে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে আপনাদের দোয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

    রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম নগরীর নিউমার্কেট এলাকার মোটেল সৈকতে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এনসিপির নেতারা। এ সময় তাঁরা শহীদ পরিবারের খোঁজখবর নেন এবং তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সাক্ষাৎকালে নাহিদ ইসলাম জানান, তিনি এবং তাঁর দলের অন্য নেতারা যখন সরকারে ছিলেন, তখন জুলাই শহীদ পরিবারের কল্যাণে নানা উদ্যোগ নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “সেসব উদ্যোগ মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়নে বাধার সম্মুখীন হয়েছে। এখনো প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে স্বৈরাচার-সমর্থিত ব্যক্তি রয়ে গেছেন, যাঁদের কারণে শহীদ পরিবারদের প্রাপ্য সম্মান আজও নিশ্চিত হয়নি।”

    তিনি শহীদ পরিবারদের উদ্দেশে বলেন, “আমরা কোনো দলীয় পরিচয় নিয়ে আপনাদের সামনে আসিনি। আমরা সেই অভ্যুত্থানের অংশীদার ছিলাম, যে অভ্যুত্থানে আপনাদের প্রিয়জনরাও ছিলেন। তাই আমরা আপনাদের দল-মতের ঊর্ধ্বে একটি পরিবার হিসেবেই দেখি। শহীদদের কোনো দলীয় পরিচয় থাকতে পারে না। তাঁরা বাংলাদেশের জন্য, জাতির জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন।”

    শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় উপস্থিত ছিলেন দলের উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, চট্টগ্রামের তত্ত্বাবধায়ক জোবাইরুল আরিফসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা। ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এনসিপি ১ জুলাই থেকে সারাদেশে এই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। গতকাল শনিবার কক্সবাজার বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে পদযাত্রা শুরু করে তাঁরা, যার গন্তব্য ছিল চকরিয়া। কিন্তু সেখানে পরিকল্পিতভাবে পথসভার মঞ্চ ভাঙচুর করা হয়, যার ফলে চকরিয়ায় সভা বাতিল করতে হয়। পরে তারা বান্দরবান জেলায় একটি সফল পদসভা সম্পন্ন করে এবং রাতে চট্টগ্রাম পৌঁছায়।

    আজ সকালে শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এনসিপি নেতারা রাঙামাটির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। রাঙামাটিতে পদযাত্রা শেষে তাঁরা চট্টগ্রাম নগরীতে আবারও কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। এই সাক্ষাত ও পদযাত্রা কর্মসূচি এনসিপির পক্ষ থেকে শহীদ পরিবার ও দেশের মানুষের সঙ্গে সংহতি প্রকাশের এক দৃঢ় প্রতীক হয়ে উঠেছে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    চট্টগ্রামে শহীদ পরিবারদের সঙ্গে সাক্ষাতে আবেগঘন বার্তা দিলেন নাহিদ ইসলাম

    আপডেট সময় ০৫:৩৪:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

    চট্টগ্রামে জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমরা অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে আছি। গোপালগঞ্জে আমাদের সঙ্গে কী ঘটেছে, তা আপনারা দেখেছেন। নানা স্থানে আমাদের পথে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে আপনাদের দোয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

    রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম নগরীর নিউমার্কেট এলাকার মোটেল সৈকতে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এনসিপির নেতারা। এ সময় তাঁরা শহীদ পরিবারের খোঁজখবর নেন এবং তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সাক্ষাৎকালে নাহিদ ইসলাম জানান, তিনি এবং তাঁর দলের অন্য নেতারা যখন সরকারে ছিলেন, তখন জুলাই শহীদ পরিবারের কল্যাণে নানা উদ্যোগ নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “সেসব উদ্যোগ মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়নে বাধার সম্মুখীন হয়েছে। এখনো প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে স্বৈরাচার-সমর্থিত ব্যক্তি রয়ে গেছেন, যাঁদের কারণে শহীদ পরিবারদের প্রাপ্য সম্মান আজও নিশ্চিত হয়নি।”

    তিনি শহীদ পরিবারদের উদ্দেশে বলেন, “আমরা কোনো দলীয় পরিচয় নিয়ে আপনাদের সামনে আসিনি। আমরা সেই অভ্যুত্থানের অংশীদার ছিলাম, যে অভ্যুত্থানে আপনাদের প্রিয়জনরাও ছিলেন। তাই আমরা আপনাদের দল-মতের ঊর্ধ্বে একটি পরিবার হিসেবেই দেখি। শহীদদের কোনো দলীয় পরিচয় থাকতে পারে না। তাঁরা বাংলাদেশের জন্য, জাতির জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন।”

    শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় উপস্থিত ছিলেন দলের উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, চট্টগ্রামের তত্ত্বাবধায়ক জোবাইরুল আরিফসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা। ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এনসিপি ১ জুলাই থেকে সারাদেশে এই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। গতকাল শনিবার কক্সবাজার বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে পদযাত্রা শুরু করে তাঁরা, যার গন্তব্য ছিল চকরিয়া। কিন্তু সেখানে পরিকল্পিতভাবে পথসভার মঞ্চ ভাঙচুর করা হয়, যার ফলে চকরিয়ায় সভা বাতিল করতে হয়। পরে তারা বান্দরবান জেলায় একটি সফল পদসভা সম্পন্ন করে এবং রাতে চট্টগ্রাম পৌঁছায়।

    আজ সকালে শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এনসিপি নেতারা রাঙামাটির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। রাঙামাটিতে পদযাত্রা শেষে তাঁরা চট্টগ্রাম নগরীতে আবারও কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। এই সাক্ষাত ও পদযাত্রা কর্মসূচি এনসিপির পক্ষ থেকে শহীদ পরিবার ও দেশের মানুষের সঙ্গে সংহতি প্রকাশের এক দৃঢ় প্রতীক হয়ে উঠেছে।