ঢাকা ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    জমির বিরোধে খুন

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৫:০৫:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
    • / ২৫৯ বার পড়া হয়েছে

    রাজধানীর ওয়ারীতে গত বছরের ১৪ আগস্ট কুপিয়ে হত্যা করা হয় বিএনপি নেতা মো. আল-আমিন ভূঁইয়া ও তাঁর ছোট ভাই নুরুল আমিনকে। স্বজনেরা জানিয়েছেন, এই খুনের নেপথ্যে ছিল জমিসংক্রান্ত বিরোধ।

    যদিও আল-আমিনকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ হিসেবে প্রজ্ঞাপন তাদের নাম রয়েছে।

    ঘটনাটি নিয়ে পুলিশ ও নিহতদের চারজন স্বজনের সঙ্গে কথা বলে প্রমাণ মেলে।

    পাশাপাশি বিশ্লেষণ করা হয়েছে মামলার নথি। স্বজনেরা স্বীকার করেছেন, আল-আমিন ভূঁইয়া ও নুরুল আমিন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ হননি।

    দুই মাস অনুসন্ধান চালিয়ে দেখা গেছে, সরকারি তালিকায় থাকা ৮৩৪ জনের মধ্যে অন্তত ৫২ জন রয়েছেন, যাঁরা আসলে শহীদদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার যোগ্য নন।

    আল-আমিনের বোন বলেন, হত্যার ঘটনায় তাঁরা ওয়ারী থানায় মামলা করেছেন।

    জড়িত আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। তাহলে শহীদদের তালিকায় নাম কীভাবে উঠল, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ নিয়ে আর কথা বলবেন না।

    বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শহীদদের তালিকায় নাম ওঠাতে ভূমিকা রেখেছেন নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা।

    নিহতদের ৪১টি পরিবারের সঙ্গে কথা বললে অনেকেই স্বীকার করেছেন, তাঁদের স্বজনের মৃত্যু জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নিয়ে হয়নি।

    কেউ কেউ বলেছেন, তাঁরা সরকারি ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আশায় নাম

    দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে তাঁদের প্ররোচনাও দেওয়া হয়েছে।

    মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রত্যেক শহীদ পরিবারকে এককালীন মোট ৩০ লাখ টাকা দেবে সরকার।

    এর মধ্যে ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র দেওয়া হয়েছে। বাকি টাকা চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে দেওয়া হবে। এ ছাড়া প্রত্যেক শহীদ পরিবার মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছে। ঢাকায় তাদের ফ্ল্যাট

    দেওয়ার জন্য একটি প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে।

    সরকারি প্রজ্ঞাপনে প্রশ্নবিদ্ধ নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ার বিষয়টি নজরে আনা হলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলেছে, সরকার তালিকাটি আবার যাচাই-বাছাই করছে।

    এ বিষয়ে গত ২২ জুন দেশের সব জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    জমির বিরোধে খুন

    আপডেট সময় ০৫:০৫:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    রাজধানীর ওয়ারীতে গত বছরের ১৪ আগস্ট কুপিয়ে হত্যা করা হয় বিএনপি নেতা মো. আল-আমিন ভূঁইয়া ও তাঁর ছোট ভাই নুরুল আমিনকে। স্বজনেরা জানিয়েছেন, এই খুনের নেপথ্যে ছিল জমিসংক্রান্ত বিরোধ।

    যদিও আল-আমিনকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ হিসেবে প্রজ্ঞাপন তাদের নাম রয়েছে।

    ঘটনাটি নিয়ে পুলিশ ও নিহতদের চারজন স্বজনের সঙ্গে কথা বলে প্রমাণ মেলে।

    পাশাপাশি বিশ্লেষণ করা হয়েছে মামলার নথি। স্বজনেরা স্বীকার করেছেন, আল-আমিন ভূঁইয়া ও নুরুল আমিন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ হননি।

    দুই মাস অনুসন্ধান চালিয়ে দেখা গেছে, সরকারি তালিকায় থাকা ৮৩৪ জনের মধ্যে অন্তত ৫২ জন রয়েছেন, যাঁরা আসলে শহীদদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার যোগ্য নন।

    আল-আমিনের বোন বলেন, হত্যার ঘটনায় তাঁরা ওয়ারী থানায় মামলা করেছেন।

    জড়িত আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। তাহলে শহীদদের তালিকায় নাম কীভাবে উঠল, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ নিয়ে আর কথা বলবেন না।

    বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শহীদদের তালিকায় নাম ওঠাতে ভূমিকা রেখেছেন নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা।

    নিহতদের ৪১টি পরিবারের সঙ্গে কথা বললে অনেকেই স্বীকার করেছেন, তাঁদের স্বজনের মৃত্যু জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নিয়ে হয়নি।

    কেউ কেউ বলেছেন, তাঁরা সরকারি ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আশায় নাম

    দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে তাঁদের প্ররোচনাও দেওয়া হয়েছে।

    মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রত্যেক শহীদ পরিবারকে এককালীন মোট ৩০ লাখ টাকা দেবে সরকার।

    এর মধ্যে ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র দেওয়া হয়েছে। বাকি টাকা চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে দেওয়া হবে। এ ছাড়া প্রত্যেক শহীদ পরিবার মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছে। ঢাকায় তাদের ফ্ল্যাট

    দেওয়ার জন্য একটি প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে।

    সরকারি প্রজ্ঞাপনে প্রশ্নবিদ্ধ নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ার বিষয়টি নজরে আনা হলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলেছে, সরকার তালিকাটি আবার যাচাই-বাছাই করছে।

    এ বিষয়ে গত ২২ জুন দেশের সব জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।