ঢাকা ০৭:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫

    ট্রাম্পের ৫০% শুল্কের পর মোদির হুঁশিয়ারি-কৃষকের স্বার্থে যেকোনো মূল্য দিতে প্রস্তুত

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৩:৫৯:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫
    • / ২৬৪ বার পড়া হয়েছে

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে মোট শুল্ক ৫০ শতাংশে উন্নীত করার ঘোষণার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দেশের কৃষক, জেলে ও পশুপালকদের স্বার্থে কোনোভাবেই আপস করবেন না যদি তার জন্য তাকে ব্যক্তিগতভাবে চড়া মূল্য দিতে হয়।

    বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দিল্লিতে এক সম্মেলনে বক্তব্য দিতে গিয়ে মোদি বলেন, “কৃষকের স্বার্থ আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আমি জানি এর জন্য আমাকে বড় মূল্য দিতে হতে পারে, কিন্তু আমি প্রস্তুত। ভারত তার কৃষক, পশুপালক ও জেলেদের স্বার্থে সব সময় অটল থাকবে।”

    প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য আসে ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার কয়েক মিনিটের মধ্যেই। এর আগে ২০ জুলাইও যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় রপ্তানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল, ফলে এক মাসের মধ্যে মোট শুল্ক দাঁড়াল ৫০ শতাংশে—যা কোনো মার্কিন বাণিজ্যিক অংশীদারের ওপর আরোপিত সর্বোচ্চ শুল্কের মধ্যে অন্যতম।

    এই শুল্কে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে ভারতের কৃষি খাত, কারণ ভারত যুক্তরাষ্ট্রে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কৃষিপণ্য রপ্তানি করে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বাণিজ্যিক সম্পর্কের জন্য একটি বড় ধাক্কা।
    ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল আমদানি চালিয়ে যাওয়ার কারণে এ ধরনের শাস্তিমূলক শুল্ক অন্যায় এবং অযৌক্তিক।

    বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “ভারতের ১.৪ বিলিয়ন মানুষের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের মূল দায়িত্ব। আমাদের আমদানির সিদ্ধান্ত কেবল বাজার ও চাহিদার ওপর ভিত্তি করে নেওয়া হয়। তাই আমেরিকার এই সিদ্ধান্ত একতরফা ও দুঃখজনক।” মন্ত্রণালয় স্পষ্ট করে জানিয়েছে, ভারত জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

    বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়ান তেল কেনা, কৃষি ও দুগ্ধ খাত উন্মুক্ত না করা এবং কাশ্মীর ইস্যুতে মতবিরোধের কারণে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পাঁচ দফা বাণিজ্য আলোচনা ভেস্তে গেছে। সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে হামলার পরও দুই দেশের সম্পর্কে উত্তেজনা বাড়ে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, তিনি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করেছেন, যদিও মোদি সরকার তা সরাসরি অস্বীকার করে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    ট্রাম্পের ৫০% শুল্কের পর মোদির হুঁশিয়ারি-কৃষকের স্বার্থে যেকোনো মূল্য দিতে প্রস্তুত

    আপডেট সময় ০৩:৫৯:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে মোট শুল্ক ৫০ শতাংশে উন্নীত করার ঘোষণার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দেশের কৃষক, জেলে ও পশুপালকদের স্বার্থে কোনোভাবেই আপস করবেন না যদি তার জন্য তাকে ব্যক্তিগতভাবে চড়া মূল্য দিতে হয়।

    বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দিল্লিতে এক সম্মেলনে বক্তব্য দিতে গিয়ে মোদি বলেন, “কৃষকের স্বার্থ আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আমি জানি এর জন্য আমাকে বড় মূল্য দিতে হতে পারে, কিন্তু আমি প্রস্তুত। ভারত তার কৃষক, পশুপালক ও জেলেদের স্বার্থে সব সময় অটল থাকবে।”

    প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য আসে ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার কয়েক মিনিটের মধ্যেই। এর আগে ২০ জুলাইও যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় রপ্তানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল, ফলে এক মাসের মধ্যে মোট শুল্ক দাঁড়াল ৫০ শতাংশে—যা কোনো মার্কিন বাণিজ্যিক অংশীদারের ওপর আরোপিত সর্বোচ্চ শুল্কের মধ্যে অন্যতম।

    এই শুল্কে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে ভারতের কৃষি খাত, কারণ ভারত যুক্তরাষ্ট্রে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কৃষিপণ্য রপ্তানি করে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বাণিজ্যিক সম্পর্কের জন্য একটি বড় ধাক্কা।
    ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল আমদানি চালিয়ে যাওয়ার কারণে এ ধরনের শাস্তিমূলক শুল্ক অন্যায় এবং অযৌক্তিক।

    বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “ভারতের ১.৪ বিলিয়ন মানুষের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের মূল দায়িত্ব। আমাদের আমদানির সিদ্ধান্ত কেবল বাজার ও চাহিদার ওপর ভিত্তি করে নেওয়া হয়। তাই আমেরিকার এই সিদ্ধান্ত একতরফা ও দুঃখজনক।” মন্ত্রণালয় স্পষ্ট করে জানিয়েছে, ভারত জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

    বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়ান তেল কেনা, কৃষি ও দুগ্ধ খাত উন্মুক্ত না করা এবং কাশ্মীর ইস্যুতে মতবিরোধের কারণে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পাঁচ দফা বাণিজ্য আলোচনা ভেস্তে গেছে। সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে হামলার পরও দুই দেশের সম্পর্কে উত্তেজনা বাড়ে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, তিনি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করেছেন, যদিও মোদি সরকার তা সরাসরি অস্বীকার করে।