রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে ৭ দফা প্রস্তাব দিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস

- আপডেট সময় ০৬:৪৩:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৫৫ বার পড়া হয়েছে
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জাতিগত নিধন থেকে রক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একই সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনে সাত দফা প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
সোমবার (২৫ আগস্ট) কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানীতে অবস্থিত হোটেল ‘বে ওয়াচ’-এ শুরু হওয়া তিন দিনের আন্তর্জাতিক অংশীজন সংলাপের মূল অধিবেশনে ড. ইউনূস এসব প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ২০১৭ সালে এবং তারও আগে থেকে সীমিত সম্পদ ও সামর্থ্যের মধ্যেও মানবিক কারণে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের জীবন রক্ষার্থে সীমান্ত খুলে দিয়েছিল। তবে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত জাতিগত নিধন একটি ভয়াবহ পরিকল্পনা, যা বন্ধ করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নৈতিক দায়িত্ব।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, মিয়ানমার সরকার এবং আরকান আর্মিকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যাতে আর কোনো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে। রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সক্রিয় অবদান রাখার আহ্বান জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, সমস্যার মূল মিয়ানমারে, তাই এর স্থায়ী সমাধানও সেখানেই খুঁজে নিতে হবে। এ সময় ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে তিনি সাত দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন।
অধিবেশনে নির্বাচন প্রসঙ্গেও কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি জানান, দেশ বর্তমানে স্থিতিশীল এবং নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তুত। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের সময় ঘোষণা করা হবে। এর আগে রোববার (২৪ আগস্ট) থেকে শুরু হয় ‘টেক অ্যাওয়ে টু দ্য হাই-লেভেল কনফারেন্স অন দ্য রোহিঙ্গা সিচুয়েশন’ শীর্ষক এই সম্মেলন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও রোহিঙ্গা ইস্যু বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভের দপ্তর যৌথভাবে এ আয়োজন করছে।
প্রথম দিন বিকালে রোহিঙ্গা প্রতিনিধিরা সরাসরি মতবিনিময় করেন বিদেশি অংশীজনদের সঙ্গে। এতে জাতিসংঘসহ রোহিঙ্গা ইস্যুতে কাজ করা বিভিন্ন সংস্থা এবং বিশ্বের ৪০টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। তিন দিনের এই সম্মেলনে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের পথ খোঁজার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক তহবিল সংগ্রহ, গণহত্যার বিচার, খাদ্য সহায়তা এবং রোহিঙ্গাদের মানসিক দৃঢ়তা বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে আলোচিত হচ্ছে।
সম্মেলনের শেষ দিনে (২৬ আগস্ট) বিদেশি প্রতিনিধিরা রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন। এ সম্মেলন থেকে পাওয়া প্রস্তাব ও বক্তব্যগুলো আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে অনুষ্ঠেয় সম্মেলনে উপস্থাপন করবে বাংলাদেশ সরকার।