নামফলক নিয়ে ক্ষোভ, ফিতা কেটে ঢাকা-বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন

- আপডেট সময় ০৭:১৩:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৫২ বার পড়া হয়েছে
ঢাকা–বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ের একাংশের উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। টোল প্লাজার পাশে স্থাপিত নামফলকে নিজের নাম দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে উপস্থিত কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, “এটা কি আমার বাপের টাকায় করছে? তাহলে কেন আমার নাম থাকবে? এটা ইমিডিয়েটলি চেঞ্জ করো। আমার নাম কেন থাকবে? যারা করেছে, মন্ত্রণালয়ের বা অন্যান্যদের নাম থাকতে পারে।”
পরে নামফলক উন্মোচন না করেই সোমবার (২৫ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া এলাকায় টোল প্লাজার পাশে ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ধাপের ১৮ কিলোমিটার অংশ খুলে দেন ফাওজুল কবির খান। এর মধ্য দিয়ে ঢাকা–বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ের আংশিক চলাচল শুরু হলো।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহসানুল হক, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম খান, গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
উদ্বোধনের আগে মঞ্চে দেওয়া বক্তব্যে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, “আশপাশের দেশের তুলনায় আমাদের রাস্তা নির্মাণের ব্যয় অনেক বেশি, এই ব্যয় কমাতে হবে। রাস্তাঘাট দুর্নীতির বড় ক্ষেত্র, দুর্নীতি কমানো গেলে ব্যয় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো সম্ভব।” তিনি আরও বলেন, সড়কের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে বিকল্প পরিবহন যেমন রেলপথ, নদীপথ ও আকাশপথের ব্যবহার বাড়াতে হবে।
প্রকল্প সূত্র জানায়, ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২২ সালের মে মাসে। ভোগড়া বাইপাস থেকে মদনপুর পর্যন্ত বিস্তৃত প্রকল্পের ৮০ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। পুরো এক্সপ্রেসওয়ে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে হস্তান্তরের কথা রয়েছে।
প্রকল্প–সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ভোগড়া থেকে ১৮ কিলোমিটার অংশের কাজ সম্পন্ন হওয়ায় তা যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। তবে নিরাপত্তা ও গতি নিশ্চিত করতে এক্সপ্রেসওয়েতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া আংশিকভাবে টোল আদায়ও শুরু হয়েছে।