ঢাকা ০২:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    নারায়ণগঞ্জের ফ্ল্যাটে মিলল স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের মরদেহ

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৩:০০:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
    • / ২৫২ বার পড়া হয়েছে

    নারায়ণগঞ্জ শহরের বাবুরাইল বউবাজার এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে স্বামী, স্ত্রী ও চার বছরের সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

    সোমবার সন্ধ্যায় দরজা ভেঙে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলো—হাবিবুল্লাহ শিপলু, তার স্ত্রী মোহিনী আক্তার মীম ও ছেলে আফরান।

    শিপলুর বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার দাবিরন এলাকায়। পুলিশ জানায়, বউবাজারে পলাশ মিয়ার সাততলা ভবনের চতুর্থ তলায় তারা ভাড়া থাকতেন।

    প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রোববার রাত থেকে সোমবার দুপুরের মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়েছে।

    নিহতের বড় ভাই অলিউল্লাহ লাভলুর বরাত দিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) তারেক আল মেহেদী বলেন, ‘মা ও সন্তানের মুখে বালিশ চাপা দেওয়া ছিল।

    শিপলুকে অন্য কক্ষে সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।

    তারেক আল মেহেদী বলেন, ‘হাবিবুল্লাহ শিপলু একটি সমিতির ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

    সমিতির মালিক গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যায়। পরে গ্রাহকরা মালিক ও ম্যানেজার শিপলুর বিরুদ্ধে মামলায় করে।

    সেই থেকে তিনি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। ধারণা করা হচ্ছে হতাশাগ্রস্ত থেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এ বিষয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    নারায়ণগঞ্জের ফ্ল্যাটে মিলল স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের মরদেহ

    আপডেট সময় ০৩:০০:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    নারায়ণগঞ্জ শহরের বাবুরাইল বউবাজার এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে স্বামী, স্ত্রী ও চার বছরের সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

    সোমবার সন্ধ্যায় দরজা ভেঙে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলো—হাবিবুল্লাহ শিপলু, তার স্ত্রী মোহিনী আক্তার মীম ও ছেলে আফরান।

    শিপলুর বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার দাবিরন এলাকায়। পুলিশ জানায়, বউবাজারে পলাশ মিয়ার সাততলা ভবনের চতুর্থ তলায় তারা ভাড়া থাকতেন।

    প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রোববার রাত থেকে সোমবার দুপুরের মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়েছে।

    নিহতের বড় ভাই অলিউল্লাহ লাভলুর বরাত দিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) তারেক আল মেহেদী বলেন, ‘মা ও সন্তানের মুখে বালিশ চাপা দেওয়া ছিল।

    শিপলুকে অন্য কক্ষে সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।

    তারেক আল মেহেদী বলেন, ‘হাবিবুল্লাহ শিপলু একটি সমিতির ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

    সমিতির মালিক গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যায়। পরে গ্রাহকরা মালিক ও ম্যানেজার শিপলুর বিরুদ্ধে মামলায় করে।

    সেই থেকে তিনি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। ধারণা করা হচ্ছে হতাশাগ্রস্ত থেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এ বিষয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।