ঢাকা ১২:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    ফল প্রকাশে বিলম্বের প্রতিবাদে ঢাকায় শিবিরের বিক্ষোভ

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০১:১৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
    • / ২৬৯ বার পড়া হয়েছে

    জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে অব্যবস্থাপনা ও ফলাফল সময়মতো প্রকাশ না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখা ও কেন্দ্রীয় সংগঠন রাজধানীতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে।

    শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট থেকে ছাত্রশিবিরের একটি মিছিল শুরু হয় এবং পরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

    সমাবেশে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহসহ সংগঠনের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য দেন। তারা অভিযোগ করেন, প্রশাসন “টালবাহানা শুরু করেছে” এবং ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশে দেরি করছে। দ্রুত ফল প্রকাশের দাবিও জানানো হয়।

    বিক্ষোভকারীরা আরও অভিযোগ করেন, মিছিলে বহিরাগত ছাত্রদল নেতারা অংশ নিয়েছেন এবং এ ঘটনায় একজন বহিরাগত ছাত্রদল নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থাকা কিছু শিক্ষক নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে সরে গেছেন বলেও দাবি উঠে।

    ভোট গণনার কাজ এখনও বহু হলে শেষ হয়নি বলে শিক্ষার্থীরা জানাচ্ছেন, যার ফলে নির্বাচনকে ঘিরে নানা প্রশ্ন ও অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।

    শিক্ষার্থীরা বলছেন, একটি স্বচ্ছ ও সময়োপযোগী নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রত্যাশায় তারা ভোট দিয়েছেন। কিন্তু প্রশাসনিক জটিলতা, ভোট গণনা-প্রক্রিয়ার দুর্বলতা বা প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে ফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রিতা দেখা দিয়েছে। তাদের মতে, অব্যবস্থাপনা বলতে কেবল সময়ক্ষেপণ নয়, বরং পর্যাপ্ত প্রার্থীর তথ্যের অনুপস্থিতি, অভিযোগ সমাধানের উদ্যোগহীনতা এবং নির্বাচন তদারকিতে ঘাটতি—এসবই উদ্বেগ তৈরি করছে।

    বিক্ষোভকারীরা দাবি করেন, নির্বাচন-কমিশন বা প্রশাসন কিছু শিক্ষার্থী ও প্রার্থীর ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্ব করছে বা প্রক্রিয়াকে ধীর গতিতে পরিচালনা করছে। ছাত্ররাজনীতির প্রেক্ষাপটে এই ধরনের পরিস্থিতি সাধারণত সংবেদনশীল হয় এবং অভিযোগ বাড়তে থাকলে তা বৃহত্তর রাজনৈতিক উত্তাপে রূপ নিতে পারে।

    বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচন প্রক্রিয়া যদি স্বচ্ছ ও দ্রুত না হয়, শিক্ষার্থীদের মধ্যে নির্বাচন ও প্রতিনিধি ব্যবস্থা নিয়ে বিশ্বাস কমে যেতে পারে। অব্যবস্থাপনা ও দেরির সুযোগ প্রশাসনকে জনমতের চাপে ফেলবে যে তারা দায়িত্ব ও প্রক্রিয়া সঠিকভাবে পালন করছে কি না। ভবিষ্যতে ছাত্র সংগঠনগুলো সময়মতো ফল প্রকাশ ও স্বচ্ছ নির্বাচন দাবিতে আরও সুশৃঙ্খল আন্দোলন বা কর্মসূচি আয়োজন করতে পারে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    ফল প্রকাশে বিলম্বের প্রতিবাদে ঢাকায় শিবিরের বিক্ষোভ

    আপডেট সময় ০১:১৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে অব্যবস্থাপনা ও ফলাফল সময়মতো প্রকাশ না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখা ও কেন্দ্রীয় সংগঠন রাজধানীতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে।

    শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট থেকে ছাত্রশিবিরের একটি মিছিল শুরু হয় এবং পরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

    সমাবেশে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহসহ সংগঠনের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য দেন। তারা অভিযোগ করেন, প্রশাসন “টালবাহানা শুরু করেছে” এবং ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশে দেরি করছে। দ্রুত ফল প্রকাশের দাবিও জানানো হয়।

    বিক্ষোভকারীরা আরও অভিযোগ করেন, মিছিলে বহিরাগত ছাত্রদল নেতারা অংশ নিয়েছেন এবং এ ঘটনায় একজন বহিরাগত ছাত্রদল নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থাকা কিছু শিক্ষক নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে সরে গেছেন বলেও দাবি উঠে।

    ভোট গণনার কাজ এখনও বহু হলে শেষ হয়নি বলে শিক্ষার্থীরা জানাচ্ছেন, যার ফলে নির্বাচনকে ঘিরে নানা প্রশ্ন ও অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।

    শিক্ষার্থীরা বলছেন, একটি স্বচ্ছ ও সময়োপযোগী নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রত্যাশায় তারা ভোট দিয়েছেন। কিন্তু প্রশাসনিক জটিলতা, ভোট গণনা-প্রক্রিয়ার দুর্বলতা বা প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে ফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রিতা দেখা দিয়েছে। তাদের মতে, অব্যবস্থাপনা বলতে কেবল সময়ক্ষেপণ নয়, বরং পর্যাপ্ত প্রার্থীর তথ্যের অনুপস্থিতি, অভিযোগ সমাধানের উদ্যোগহীনতা এবং নির্বাচন তদারকিতে ঘাটতি—এসবই উদ্বেগ তৈরি করছে।

    বিক্ষোভকারীরা দাবি করেন, নির্বাচন-কমিশন বা প্রশাসন কিছু শিক্ষার্থী ও প্রার্থীর ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্ব করছে বা প্রক্রিয়াকে ধীর গতিতে পরিচালনা করছে। ছাত্ররাজনীতির প্রেক্ষাপটে এই ধরনের পরিস্থিতি সাধারণত সংবেদনশীল হয় এবং অভিযোগ বাড়তে থাকলে তা বৃহত্তর রাজনৈতিক উত্তাপে রূপ নিতে পারে।

    বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচন প্রক্রিয়া যদি স্বচ্ছ ও দ্রুত না হয়, শিক্ষার্থীদের মধ্যে নির্বাচন ও প্রতিনিধি ব্যবস্থা নিয়ে বিশ্বাস কমে যেতে পারে। অব্যবস্থাপনা ও দেরির সুযোগ প্রশাসনকে জনমতের চাপে ফেলবে যে তারা দায়িত্ব ও প্রক্রিয়া সঠিকভাবে পালন করছে কি না। ভবিষ্যতে ছাত্র সংগঠনগুলো সময়মতো ফল প্রকাশ ও স্বচ্ছ নির্বাচন দাবিতে আরও সুশৃঙ্খল আন্দোলন বা কর্মসূচি আয়োজন করতে পারে।