রক্তে ভালো কোলেস্টেরল HDL কেন জরুরি এবং কীভাবে বাড়ানো যায়

- আপডেট সময় ০৪:৫০:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৬০ বার পড়া হয়েছে
রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বা লিপিড প্রোফাইল এখন নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। লিপিড প্রোফাইলে দেহে বিভিন্ন ধরনের কোলেস্টেরলের পরিমাণ যাচাই করা হয়, যার মধ্যে একটি হলো এইচডিএল। এটি রক্তের ভালো বা উপকারী কোলেস্টেরল নামে পরিচিত। অন্য কোলেস্টেরল বেশি হলে দুশ্চিন্তার কারণ হলেও এইচডিএল বেশি থাকাটা বরং উপকারী। বিপরীতে এটি কমে গেলে তা উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
এইচডিএল বা হাই-ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন মূলত রক্তের অতিরিক্ত কোলেস্টেরল যকৃতে (লিভার) নিয়ে যায়। সেখানে কোলেস্টেরল ভেঙে যায় বা শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। এর ফলে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। রক্তে এইচডিএল কোলেস্টেরলের স্বাভাবিক মাত্রা পুরুষ ও নারীর ক্ষেত্রে ভিন্ন। নারীদের শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের কারণে এইচডিএলের মাত্রা তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে। তাদের জন্য স্বাভাবিক মাত্রা হলো ৫০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার বা তার বেশি। পুরুষদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক মাত্রা ৪০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার।
এইচডিএল শরীরের জন্য নানা দিক থেকে উপকারী। এটি হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়, ডায়াবেটিস, স্ট্রোক এবং মেটাবলিক সিনড্রোমের ঝুঁকি হ্রাস করে। পাশাপাশি এটি একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং শরীরে স্ট্রেসজনিত ক্ষতিকর পরিবর্তন প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
প্রাকৃতিক উপায়ে এইচডিএল বাড়ানো সম্ভব। নিয়মিত ব্যায়াম ও হাঁটাহাঁটি, বিশেষ করে অ্যারোবিক ব্যায়াম এতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। ধূমপান ত্যাগ, ওজন কমানো এবং খাদ্যতালিকায় স্বাস্থ্যকর চর্বি অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অনেক সময় সাপ্লিমেন্ট বা ওষুধও দেওয়া হয়ে থাকে, তবে অযথা এসব গ্রহণ না করাই উত্তম।
খাদ্যতালিকায় কিছু খাবার সরাসরি এইচডিএল বাড়াতে সহায়তা করে। মাছের তেলে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তে ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। কমলা, আপেল, আঙুরের মতো ফলে এইচডিএল রয়েছে। এছাড়া ওটস, বার্লি, ব্রাউন রাইস এবং এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলও উপকারী। তবে অনেকে ভুলভাবে দিনের পর দিন অপ্রয়োজনীয়ভাবে ওমেগা-৩ সাপ্লিমেন্ট খেয়ে থাকেন, যা ক্ষতিকর হতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করা উচিত নয়।