ঢাকা ০২:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

    ৩১৭ কোটি টাকায় হচ্ছে শুভাঢ্যা খাল খনন

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ১২:৫৯:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
    • / ২৯০ বার পড়া হয়েছে

    বুড়িগঙ্গা থেকে ধলেশ্বরী নদী পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ শুভাঢ্যা খাল খননের কাজ চলছে পুরোদমে। পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, আগামী অর্থবছরের মধ্যে এই প্রকল্প সম্পন্ন হবে।

    বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ৩১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এই খাল পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে, যা পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধান করবে।

    দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কালিগঞ্জ ও শ্মশান ঘাট এলাকায় খাল পরিদর্শনের সময় উপদেষ্টা বলেন, দখল, ময়লা, এবং আবর্জনার কারণে খালের পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে পরিবেশ দূষণ বেড়েছে, আর জলাবদ্ধতা হয়ে উঠেছে নিত্যদিনের সমস্যা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে খালের পুরাতন নকশা অনুযায়ী পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনা হবে।

    খননের পর খালের দুই পাশে সবুজায়ন ও বনায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান স্থানীয় বাসিন্দা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক করে বলেছেন, খালে নির্মাণ বর্জ্য, গার্মেন্টসের বর্জ্য, বা অন্য কোনো ময়লা ফেলা যাবে না। তিনি সবাইকে খাল রক্ষায় সচেতন ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।

    ঢাকা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে খালের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা চলছে। এছাড়া, আগামী বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা রোধে সিটি করপোরেশনগুলো ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন কাজ শুরু করেছে। এই প্রকল্প শুধু পরিবেশ নয়, স্থানীয় জনগণের জীবনমান উন্নত করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    ৩১৭ কোটি টাকায় হচ্ছে শুভাঢ্যা খাল খনন

    আপডেট সময় ১২:৫৯:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

    বুড়িগঙ্গা থেকে ধলেশ্বরী নদী পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ শুভাঢ্যা খাল খননের কাজ চলছে পুরোদমে। পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, আগামী অর্থবছরের মধ্যে এই প্রকল্প সম্পন্ন হবে।

    বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ৩১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এই খাল পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে, যা পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধান করবে।

    দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কালিগঞ্জ ও শ্মশান ঘাট এলাকায় খাল পরিদর্শনের সময় উপদেষ্টা বলেন, দখল, ময়লা, এবং আবর্জনার কারণে খালের পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে পরিবেশ দূষণ বেড়েছে, আর জলাবদ্ধতা হয়ে উঠেছে নিত্যদিনের সমস্যা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে খালের পুরাতন নকশা অনুযায়ী পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনা হবে।

    খননের পর খালের দুই পাশে সবুজায়ন ও বনায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান স্থানীয় বাসিন্দা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক করে বলেছেন, খালে নির্মাণ বর্জ্য, গার্মেন্টসের বর্জ্য, বা অন্য কোনো ময়লা ফেলা যাবে না। তিনি সবাইকে খাল রক্ষায় সচেতন ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।

    ঢাকা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে খালের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা চলছে। এছাড়া, আগামী বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা রোধে সিটি করপোরেশনগুলো ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন কাজ শুরু করেছে। এই প্রকল্প শুধু পরিবেশ নয়, স্থানীয় জনগণের জীবনমান উন্নত করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।