ঢাকা ০৬:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    মাইকে ঘোষণা দিয়ে চবি শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ১১:৫৪:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫
    • / ২৬৭ বার পড়া হয়েছে

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন। এই সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ২০ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শনিবার (৩০ আগস্ট) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট সংলগ্ন এলাকায় এই সংঘর্ষ শুরু হয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাত সাড়ে ৩টার দিকে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। সবশেষ ভোর সাড়ে ৪টায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।

    স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী রাত সাড়ে ১১টার দিকে ২ নম্বর গেটের মাছ বাজার সংলগ্ন একটি ভাড়া বাসায় ঢুকতে গেলে দারোয়ানের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দারোয়ান ওই ছাত্রীকে মারধর করেন। মেয়েটি তার এক ছেলে বন্ধুকে ফোন করে বিষয়টি জানালে কয়েকজন শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ শুরু হয়।

    পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয় যখন স্থানীয়রা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। জবাবে শিক্ষার্থীরাও চবির সোহরাওয়ার্দী হলের মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে একত্রিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

    সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে রয়েছেন আরবি বিভাগের ফুয়াদ হাসান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শাওন, ইতিহাস বিভাগের তাহসান হাবিব, লোকপ্রশাসন বিভাগের আশ্রাফ রাতুল, গণিত বিভাগের লাবিব, ইংরেজি বিভাগের হাসান জুবায়ের হিমেল, অর্থনীতি বিভাগের নাহিন মুস্তফা, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের আল-মাসনুন, ইসলামিক স্টাডিজের আশিক মিয়া, দর্শন বিভাগের মাহিন, সমাজতত্ত্ব বিভাগের হুমায়ুন কবির, দর্শন বিভাগের তামিম, ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের রিদুয়ান, অ্যাকাউন্ট বিভাগের রিফাত ও রিপন, বাংলা বিভাগের সাইদুল ইসলাম এবং রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের মো. ইয়েন।

    চবি মেডিকেলের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মুহাম্মদ টিপু সুলতান জানান, বহু শিক্ষার্থী আহত অবস্থায় মেডিকেলে ভর্তি হয়েছেন। যাদের অবস্থা গুরুতর, তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
    বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, তারা রাত ১২টার দিকেই নিরাপত্তা দল পাঠিয়েছিলেন, কিন্তু শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় তাদের একত্রিত করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। এছাড়া সময়মতো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি ছিল না।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    মাইকে ঘোষণা দিয়ে চবি শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

    আপডেট সময় ১১:৫৪:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন। এই সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ২০ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শনিবার (৩০ আগস্ট) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট সংলগ্ন এলাকায় এই সংঘর্ষ শুরু হয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাত সাড়ে ৩টার দিকে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। সবশেষ ভোর সাড়ে ৪টায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।

    স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী রাত সাড়ে ১১টার দিকে ২ নম্বর গেটের মাছ বাজার সংলগ্ন একটি ভাড়া বাসায় ঢুকতে গেলে দারোয়ানের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দারোয়ান ওই ছাত্রীকে মারধর করেন। মেয়েটি তার এক ছেলে বন্ধুকে ফোন করে বিষয়টি জানালে কয়েকজন শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ শুরু হয়।

    পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয় যখন স্থানীয়রা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। জবাবে শিক্ষার্থীরাও চবির সোহরাওয়ার্দী হলের মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে একত্রিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

    সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে রয়েছেন আরবি বিভাগের ফুয়াদ হাসান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শাওন, ইতিহাস বিভাগের তাহসান হাবিব, লোকপ্রশাসন বিভাগের আশ্রাফ রাতুল, গণিত বিভাগের লাবিব, ইংরেজি বিভাগের হাসান জুবায়ের হিমেল, অর্থনীতি বিভাগের নাহিন মুস্তফা, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের আল-মাসনুন, ইসলামিক স্টাডিজের আশিক মিয়া, দর্শন বিভাগের মাহিন, সমাজতত্ত্ব বিভাগের হুমায়ুন কবির, দর্শন বিভাগের তামিম, ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের রিদুয়ান, অ্যাকাউন্ট বিভাগের রিফাত ও রিপন, বাংলা বিভাগের সাইদুল ইসলাম এবং রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের মো. ইয়েন।

    চবি মেডিকেলের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মুহাম্মদ টিপু সুলতান জানান, বহু শিক্ষার্থী আহত অবস্থায় মেডিকেলে ভর্তি হয়েছেন। যাদের অবস্থা গুরুতর, তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
    বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, তারা রাত ১২টার দিকেই নিরাপত্তা দল পাঠিয়েছিলেন, কিন্তু শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় তাদের একত্রিত করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। এছাড়া সময়মতো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি ছিল না।