জিরো রিটার্ন জমা দেওয়া আইনগত অপরাধ-পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিধান আছে

- আপডেট সময় ০১:১২:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৫৫ বার পড়া হয়েছে
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, করদাতাদের শূন্য বা ‘জিরো রিটার্ন’ দাখিল করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং এটি ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
১ জুলাই থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের বার্ষিক আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হয়, যেখানে সারা বছরের আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় সংক্রান্ত সঠিক তথ্য প্রদান বাধ্যতামূলক। তবে এনবিআর বলেছে, রিটার্নে আয়, ব্যয়, সম্পদ বা দায়ের বিষয়ে মিথ্যা বা শূন্য তথ্য দেওয়া হলে বর্তমান আয়কর আইনের ৩১২ ও ৩১৩ ধারার অধীনে করদাতাকে পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া যেতে পারে।
সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘জিরো রিটার্ন’ নামে একটি ভুল ধারণা ছড়িয়েছে, যেখানে দাবি করা হচ্ছে যে আয়কর রিটার্নের সকল ঘর শূন্য পূরণ করেও রিটার্ন জমা দেওয়া যায়। এনবিআর এই ভুল তথ্যকে উড়িয়ে দিয়েছে এবং করদাতাদের সতর্ক করেছে যাতে তারা এই প্রতারণামূলক ধারণার ফাঁদে না পড়ে। এনবিআর স্পষ্ট করে দিয়েছে, ‘জিরো রিটার্ন’ নামে কোনো বৈধ রিটার্নের বিধান নেই, এবং প্রত্যেক করদাতা তার প্রকৃত আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় সঠিকভাবে ঘোষণা করার আইনগত দায়বদ্ধ।
এনবিআর আরও বলেছে, করদাতাদের প্রকৃত আয়ের পরিমাণ যদি করযোগ্য না হয়, তবুও সঠিক তথ্য প্রদান বাধ্যতামূলক। শুধু কর দিতে না পারলেই বা কর না দিলেই রিটার্নে মিথ্যা বা শূন্য তথ্য প্রদানের সুযোগ নেই। একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে প্রকৃত তথ্য প্রদানের মাধ্যমে করদাতারা দেশের উন্নয়নে অংশগ্রহণ করবেন এবং নিজেদের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড থেকে রক্ষা করতে পারবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত অর্থবছরে প্রায় ১৭ লাখ করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দিয়েছেন, যার মধ্যে ৭০ শতাংশ করদাতা কর দেননি কিন্তু রিটার্ন জমা দিয়েছেন। বর্তমানে বাংলাদেশে ১ কোটি ১২ লাখ কর শনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএন) রয়েছেন, যাদের মধ্যে বছরে প্রায় ৪০ লাখ করদাতা নিয়মিত রিটার্ন দিচ্ছেন। চলতি অর্থবছর থেকে সমস্ত করদাতাদের জন্য অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এনবিআর আশা করছে, এই পদক্ষেপ করদাতাদের কর দানে উৎসাহিত করবে এবং সরকারি রাজস্ব সংগ্রহ বাড়াবে।