ঢাকা ০৯:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
    ইরান-ইসরাইল সংঘাতের প্রভাব

    জ্বালানি তেলের বাজারে অস্থিরতা

    বিশেষ প্রতিনিধি
    • আপডেট সময় ১২:৪৮:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
    • / ২৬৭ বার পড়া হয়েছে

    বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে অস্থিরতা শুরু হয়েছে। ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে তীব্র সংঘাতের জেরে তেলের সরবরাহে বিঘ্নের আশঙ্কা বাড়ছে। এর প্রভাব পড়বে বাংলাদেশে। 

    ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধ তীব্র হওয়ায় বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম ঊর্ধ্বমুখী। মাত্র চার দিনে তেলের দাম বেড়েছে ৬ শতাংশ। ব্রেন্ট ক্রুডের দাম এখন ব্যারেলপ্রতি ৭৫ ডলার, আর মার্কিন তেলের দাম ৭৩.৮৫ ডলার। গত শুক্রবার তেলের দাম একদিনে ৭ শতাংশ বেড়ে ২০২২ সালের মার্চের পর সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছায়।

    মধ্যপ্রাচ্য বিশ্বের ২৬ শতাংশ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করে। এই অঞ্চলের হরমুজ প্রণালি দিয়ে প্রতিদিন ১৮ থেকে ১৯ মিলিয়ন ব্যারেল তেল পরিবহন হয়, যা বিশ্বের মোট তেল ব্যবহারের এক-পঞ্চমাংশ। কিন্তু সংঘাতের কারণে এই নৌপথ এখন হুমকির মুখে। গত সোমবার ইসরাইলের হাইফা শহরে তেল শোধনাগারের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা এই আশঙ্কাকে আরও বাড়িয়েছে।

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সংঘাতের প্রভাব বাংলাদেশে দুই মাস পর থেকে দেখা যাবে। আমদানিনির্ভর বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে জ্বালানি তেলবাহী জাহাজগুলো হরমুজ প্রণালির বাধার কারণে সমস্যায় পড়ছে। ফলে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম বাড়লে জনজীবনে এর প্রভাব পড়বে।

    ইরান-ইসরাইল সংঘাত যদি দীর্ঘায়িত হয়, তবে বিশ্ববাজারে তেলের সংকট আরও তীব্র হতে পারে। বাংলাদেশের জন্যও এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    ইরান-ইসরাইল সংঘাতের প্রভাব

    জ্বালানি তেলের বাজারে অস্থিরতা

    আপডেট সময় ১২:৪৮:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

    বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে অস্থিরতা শুরু হয়েছে। ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে তীব্র সংঘাতের জেরে তেলের সরবরাহে বিঘ্নের আশঙ্কা বাড়ছে। এর প্রভাব পড়বে বাংলাদেশে। 

    ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধ তীব্র হওয়ায় বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম ঊর্ধ্বমুখী। মাত্র চার দিনে তেলের দাম বেড়েছে ৬ শতাংশ। ব্রেন্ট ক্রুডের দাম এখন ব্যারেলপ্রতি ৭৫ ডলার, আর মার্কিন তেলের দাম ৭৩.৮৫ ডলার। গত শুক্রবার তেলের দাম একদিনে ৭ শতাংশ বেড়ে ২০২২ সালের মার্চের পর সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছায়।

    মধ্যপ্রাচ্য বিশ্বের ২৬ শতাংশ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করে। এই অঞ্চলের হরমুজ প্রণালি দিয়ে প্রতিদিন ১৮ থেকে ১৯ মিলিয়ন ব্যারেল তেল পরিবহন হয়, যা বিশ্বের মোট তেল ব্যবহারের এক-পঞ্চমাংশ। কিন্তু সংঘাতের কারণে এই নৌপথ এখন হুমকির মুখে। গত সোমবার ইসরাইলের হাইফা শহরে তেল শোধনাগারের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা এই আশঙ্কাকে আরও বাড়িয়েছে।

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সংঘাতের প্রভাব বাংলাদেশে দুই মাস পর থেকে দেখা যাবে। আমদানিনির্ভর বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে জ্বালানি তেলবাহী জাহাজগুলো হরমুজ প্রণালির বাধার কারণে সমস্যায় পড়ছে। ফলে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম বাড়লে জনজীবনে এর প্রভাব পড়বে।

    ইরান-ইসরাইল সংঘাত যদি দীর্ঘায়িত হয়, তবে বিশ্ববাজারে তেলের সংকট আরও তীব্র হতে পারে। বাংলাদেশের জন্যও এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ।