ঢাকা ০৯:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫

    তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কার্যকর সমাধান চান প্রধান বিচারপতি

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০১:০৮:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫
    • / ২৫৮ বার পড়া হয়েছে

    তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে দিয়ে কোনো সাময়িক সমাধান চায় না আপিল বিভাগ। বরং নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে একটি কার্যকর সমাধান চায়, যা বারবার বিঘ্নিত না হয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সুদূরপ্রসারী প্রভাব রাখবে। বুধবার (২৭ আগস্ট) তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ এই মন্তব্য করেন।

    শুনানিতে প্রধান বিচারপতি এও প্রশ্ন রাখেন যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে দিলে তা কখন থেকে কার্যকর হবে। সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে দ্বিতীয় দিনের মতো এই আবেদনের শুনানি শুরু হয়। আদালতে আবেদনের পক্ষে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল এবং অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির শুনানি করেন। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান শুনানি করছেন।

    এর আগে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) এই চারটি আবেদনের ওপর প্রথম দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। গত ১১ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এই আবেদনের শুনানি মুলতবি করেছিলেন।

    সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদে পাস হওয়ার মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী এই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট এই রিট খারিজ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে বৈধ ঘোষণা করে।

    হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার অনুমতি দেওয়া হলে ২০০৫ সালে রিট আবেদনকারীরা আপিল করেন। এই আপিলের ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে।

    এই রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপসহ কিছু বিষয়ে পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয় এবং ৩ জুলাই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশিত হয়। পরে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি এই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন।

    এছাড়াও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আলাদাভাবে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। নওগাঁর রানীনগরের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আরেকটি আবেদন দাখিল করেন।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কার্যকর সমাধান চান প্রধান বিচারপতি

    আপডেট সময় ০১:০৮:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫

    তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে দিয়ে কোনো সাময়িক সমাধান চায় না আপিল বিভাগ। বরং নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে একটি কার্যকর সমাধান চায়, যা বারবার বিঘ্নিত না হয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সুদূরপ্রসারী প্রভাব রাখবে। বুধবার (২৭ আগস্ট) তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ এই মন্তব্য করেন।

    শুনানিতে প্রধান বিচারপতি এও প্রশ্ন রাখেন যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে দিলে তা কখন থেকে কার্যকর হবে। সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে দ্বিতীয় দিনের মতো এই আবেদনের শুনানি শুরু হয়। আদালতে আবেদনের পক্ষে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল এবং অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির শুনানি করেন। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান শুনানি করছেন।

    এর আগে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) এই চারটি আবেদনের ওপর প্রথম দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। গত ১১ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এই আবেদনের শুনানি মুলতবি করেছিলেন।

    সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদে পাস হওয়ার মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী এই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট এই রিট খারিজ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে বৈধ ঘোষণা করে।

    হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার অনুমতি দেওয়া হলে ২০০৫ সালে রিট আবেদনকারীরা আপিল করেন। এই আপিলের ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে।

    এই রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপসহ কিছু বিষয়ে পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয় এবং ৩ জুলাই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশিত হয়। পরে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি এই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন।

    এছাড়াও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আলাদাভাবে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। নওগাঁর রানীনগরের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আরেকটি আবেদন দাখিল করেন।