ঢাকা ০২:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

    নির্বাচনে নিরাপত্তা বাড়াতে পুলিশের ব্যবহারের জন্য ৪০ হাজার বডিক্যাম কেনার পরিকল্পনা

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ১২:৩৫:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫
    • / ২৫৬ বার পড়া হয়েছে

    আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদারে বড় ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। পুলিশের ব্যবহারের জন্য ৪০ হাজার বডি-ওয়্যার ক্যামেরা বা বডিক্যাম কেনার পরিকল্পনা প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে।

    শনিবার (৯ আগস্ট) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকস চৌধুরী এবং বিশেষ সহকারী ফয়েজ তৈয়ব আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

    প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ তৈয়ব আহমেদ জানান, জার্মানি, চীন ও থাইল্যান্ডের তিনটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে বডিক্যাম সরবরাহের বিষয়ে। ডিভাইসগুলো নির্বাচন চলাকালীন হাজারো ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে পুলিশ সদস্যদের বুকে ঝুলিয়ে ব্যবহার করা হবে। তিনি বলেন, “অক্টোবরের মধ্যেই বডিক্যামগুলো দেশে আনার লক্ষ্য রয়েছে, যাতে পুলিশ আগেভাগে এআই সক্ষমতাসহ বডিক্যামের মূল ফিচারগুলো ব্যবহারে প্রশিক্ষণ নিতে পারে।”

    প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন, দ্রুত এই বডিক্যাম সংগ্রহের পাশাপাশি হাজার হাজার পুলিশ সদস্যের জন্য মানসম্মত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “আমাদের অবশ্যই প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। খরচ যাই হোক না কেন, লক্ষ্য একটাই—আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করা।”

    বৈঠকে আরও জানানো হয়, নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ ও তথ্যসমৃদ্ধ করতে একটি বিশেষ অ্যাপ চালুর পরিকল্পনা করছে সরকার। প্রধান উপদেষ্টার টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী জানান, এই অ্যাপটিতে প্রার্থীদের বিস্তারিত তথ্য, ভোটকেন্দ্রের তাৎক্ষণিক আপডেট এবং অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা থাকবে।

    প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দেন, দ্রুত অ্যাপটি চালু করে ১০ কোটিরও বেশি ভোটারের জন্য এটিকে ব্যবহারবান্ধব করতে হবে। এই উদ্যোগগুলো বাস্তবায়িত হলে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন শুধু প্রযুক্তিগত নিরাপত্তায় নতুন মাত্রা পাবে না, বরং ভোটার ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের আস্থাও বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    নির্বাচনে নিরাপত্তা বাড়াতে পুলিশের ব্যবহারের জন্য ৪০ হাজার বডিক্যাম কেনার পরিকল্পনা

    আপডেট সময় ১২:৩৫:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

    আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদারে বড় ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। পুলিশের ব্যবহারের জন্য ৪০ হাজার বডি-ওয়্যার ক্যামেরা বা বডিক্যাম কেনার পরিকল্পনা প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে।

    শনিবার (৯ আগস্ট) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকস চৌধুরী এবং বিশেষ সহকারী ফয়েজ তৈয়ব আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

    প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ তৈয়ব আহমেদ জানান, জার্মানি, চীন ও থাইল্যান্ডের তিনটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে বডিক্যাম সরবরাহের বিষয়ে। ডিভাইসগুলো নির্বাচন চলাকালীন হাজারো ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে পুলিশ সদস্যদের বুকে ঝুলিয়ে ব্যবহার করা হবে। তিনি বলেন, “অক্টোবরের মধ্যেই বডিক্যামগুলো দেশে আনার লক্ষ্য রয়েছে, যাতে পুলিশ আগেভাগে এআই সক্ষমতাসহ বডিক্যামের মূল ফিচারগুলো ব্যবহারে প্রশিক্ষণ নিতে পারে।”

    প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন, দ্রুত এই বডিক্যাম সংগ্রহের পাশাপাশি হাজার হাজার পুলিশ সদস্যের জন্য মানসম্মত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “আমাদের অবশ্যই প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। খরচ যাই হোক না কেন, লক্ষ্য একটাই—আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করা।”

    বৈঠকে আরও জানানো হয়, নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ ও তথ্যসমৃদ্ধ করতে একটি বিশেষ অ্যাপ চালুর পরিকল্পনা করছে সরকার। প্রধান উপদেষ্টার টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী জানান, এই অ্যাপটিতে প্রার্থীদের বিস্তারিত তথ্য, ভোটকেন্দ্রের তাৎক্ষণিক আপডেট এবং অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা থাকবে।

    প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দেন, দ্রুত অ্যাপটি চালু করে ১০ কোটিরও বেশি ভোটারের জন্য এটিকে ব্যবহারবান্ধব করতে হবে। এই উদ্যোগগুলো বাস্তবায়িত হলে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন শুধু প্রযুক্তিগত নিরাপত্তায় নতুন মাত্রা পাবে না, বরং ভোটার ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের আস্থাও বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।