ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীরের রিয়াসি জেলার কাটারা শহরের কাছে বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের কাছে ভূমিধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩০ জনে দাঁড়িয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, কাদা-মাটি ও ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অনেক মরদেহ চাপা পড়ে আছে।

এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৩ জন, যাদের কাটারা শহরের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার (সিএইচসি) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রিয়াসি জেলা পুলিশের প্রধান পরমবীর সিং বুধবার (২৭ আগস্ট) ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত তিন দিন ধরে জম্মু-কাশ্মীরজুড়ে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এর জেরেই মঙ্গলবার দুপুরে মন্দিরের যাত্রাপথে অবস্থিত ইন্দ্রপ্রস্থ ভোজনালয় ও তার আশেপাশের এলাকায় এই ভূমিধস ঘটে। ভূমিধসের পরপরই মন্দির কমিটি ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। পরে এতে যোগ দেয় ভারতের জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী এনডিআরএফ এবং আধাসামরিক বাহিনী সিআরপিএফ।

পরমবীর সিং জানান, ভারী বৃষ্টির কারণে জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন স্থান থেকে ভূমিধস ও হড়পা বানের খবর আসছে। উপদ্রুত বেশিরভাগ এলাকার সড়ক যোগাযোগ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ভেঙে পড়েছে। সেসব এলাকায়ও উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন এলাকা থেকে এ পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে, ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি) জানিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের আবহাওয়ার দ্রুত উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই। আগামী দুই থেকে তিন দিন আরও ভারী বর্ষণ হতে পারে। কাটরা, জম্মু, সাম্বা, রিয়াসি, উধমপুর, ডোডা এবং কিশ্তওয়াড় জেলায় ভূমিধস ও হড়পা বানের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে ভক্তদের যাত্রা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। এনডিআরএফের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অবিরাম বৃষ্টির কারণে উদ্ধারকাজে ব্যাঘাত ঘটছে, তবে তারা সকলকে দ্রুততম সময়ে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।