কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দিলেন বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান

- আপডেট সময় ০১:১৫:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৫৭ বার পড়া হয়েছে
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান দলের দেওয়া কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব জমা দিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর বরাবর লিখিত জবাব প্রদান করেন তিনি।
ফজলুর রহমান জানান, তাকে বিকেল ৪টার মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তার প্রতিনিধি বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নয়াপল্টন কার্যালয়ে গিয়ে নোটিশ জমা দেন। জবাব দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়ায় তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
লিখিত জবাবে ফজলুর রহমান স্পষ্ট করেন, তিনি কখনোই জুলাই আন্দোলন নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বা বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করেননি। বরং জুলাই–আগস্টের শহীদদের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা জানিয়ে আসছেন। তিনি দাবি করেন, ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ আবু সাইদ হত্যাকাণ্ডের পর প্রথম তিনিই তাকে একুশ শতকের ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ প্রসঙ্গে ফজলুর রহমান বলেন, তিনি একজন দৃঢ়বিশ্বাসী মুসলমান এবং ইসলাম ও আল্লাহ–রাসুলের প্রতি তার অটল আস্থা রয়েছে। তবে জামায়াতে ইসলামীসহ ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনীতি করা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে তিনি সব সময়ই কথা বলেছেন, ভবিষ্যতেও বলবেন।
কোটা আন্দোলন নিয়ে তিনি বলেন, আন্দোলন শুরুর সময় ছাত্রদের গণতন্ত্রের আন্দোলনে অংশগ্রহণে তিনি উৎসাহিত করেছিলেন। জুলাই আন্দোলন এবং বিএনপির দীর্ঘ সংগ্রামে তিনি সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর জামায়াত–শিবির নিজেদের ‘জুলাই আন্দোলনের ভ্যানগার্ড’ দাবি করে ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ অস্বীকারের প্রবণতার বিরুদ্ধে তিনি নিয়মিত বক্তব্য দিয়ে আসছেন এবং জামায়াত–শিবিরকে ‘কালো শক্তি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বলে উল্লেখ করেন। বিএনপির আন্দোলনের জমি দীর্ঘদিন ধরে তৈরি করার পরও শেষ মুহূর্তে জামায়াত ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা সেটি ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ফজলুর রহমান বলেন, তার সব বক্তব্য জাতীয়তাবাদী আদর্শের ভিত্তিতেই দেওয়া। কিছু বক্তব্যে যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে ভুলত্রুটি থেকে থাকে তবে তিনি দুঃখ প্রকাশ করতে প্রস্তুত।
তিনি আরও বলেন, দলের ক্ষতি হয়—এমন কোনো কাজ তিনি কখনো করেননি এবং ভবিষ্যতেও করবেন না। বিএনপির নেতৃত্বের প্রতি তার পূর্ণ আস্থা রয়েছে এবং দলের বৃহত্তর স্বার্থে সব সিদ্ধান্ত তিনি মেনে নেবেন।