লিসবনে ফানিকুলার দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহত, জাতীয় শোক ঘোষণা

- আপডেট সময় ১১:০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২৫৮ বার পড়া হয়েছে
পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের প্রাণকেন্দ্রে ভয়াবহ ফানিকুলার দুর্ঘটনায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১৮ জন, যাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিহত ও আহতদের মধ্যে দেশি-বিদেশি নাগরিক রয়েছেন, তবে এখনও পর্যন্ত বিদেশিদের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকাল ৬টার দিকে এলিভাদোর গ্লোরিয়া নামের একটি ঐতিহাসিক ফানিকুলার হঠাৎ দ্রুতগতিতে নিচের দিকে নেমে পাশের একটি ভবনে ধাক্কা খেয়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী, পুরো ক্যাবল রেলটি যেন কাঠের বাক্সের মতো চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। খবর পেয়ে মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
আহতদের দ্রুত লিসবনের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে একজন গর্ভবতী নারী ও তার শিশু সন্তান রয়েছেন। গর্ভবতী নারীকে মেটারনিটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে এবং শিশুটিকে বিশেষায়িত শিশু হাসপাতাল দোনা এস্টেফানিয়াতে ভর্তি করা হয়েছে।
ভয়াবহ এ দুর্ঘটনার পর বৃহস্পতিবার পর্তুগালে জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। লিসবনের মেয়র কার্লোস মোয়েদা রাজধানীতে তিনদিনের শোক পালনের ঘোষণা দেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের শহরে এরকম একটি মর্মান্তিক ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। ভুক্তভোগীদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। যেকোনো পরিস্থিতিতে আমরা তাদের পাশে থাকব।”
এলিভাদোর গ্লোরিয়া নামের এই ফানিকুলারটি ১৮৮৫ সালে চালু হয় এবং প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে প্রায় ১৪০ বছর ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে। লিসবন সাতটি পাহাড়ের ওপর গড়ে ওঠা শহর হওয়ায় ওপর থেকে নিচে কিংবা নিচ থেকে ওপরে পথচারী ও যাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে এই ধরনের ক্যাবল রেল সেবা চালু রয়েছে। তবে দুর্ঘটনার পর শহরের সব ফানিকুলার সেবা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।