ঢাকা ০৭:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    অস্থিরতা বাড়ায় নেপালে সামগ্রিক নিরাপত্তার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সেনাবাহিনী

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক
    • আপডেট সময় ১২:৪৭:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
    • / ২৫৫ বার পড়া হয়েছে

    বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণ সংলাপের পথে আসার আহ্বান জানিয়েছেন নেপাল সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেল। তবে তার আহ্বানের পরও রাজনৈতিক অস্থিরতা না কমায় দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সেনাবাহিনী।

    মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ১০টার দিকে নেপাল সেনাবাহিনীর সদস্যরা রাজধানী কাঠমান্ডুসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নিতে শুরু করেন। সেনারা এখন দেশটির অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে।

    নেপালের প্রতিরক্ষা জনসংযোগ অধিদপ্তরের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, কিছু গোষ্ঠী চলমান অস্থিরতাকে কাজে লাগিয়ে সাধারণ মানুষের জীবন ও সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তির মারাত্মক ক্ষতি করছে। এ ধরনের কার্যকলাপ বন্ধ না হলে সেনাবাহিনী পুরোপুরি মোতায়েন হয়ে অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনবে। একই সঙ্গে দেশজুড়ে আরও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ঠেকাতে নাগরিকদের সংযত থাকতে ও সহযোগিতা করতে আহ্বান জানানো হয়েছে।
    বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সেনাবাহিনী মোতায়েন কার্যক্রম শুরু হলে সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নতুন করে মূল্যায়ন করা হবে।

    এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক ভিডিও বার্তায় সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেল বলেন, “বর্তমান কঠিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা ও জাতির সর্বোচ্চ স্বার্থ রক্ষা করা সবার দায়িত্ব। আমি বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত করার অনুরোধ করছি এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে সংলাপের পথে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।”

    নিউজটি শেয়ার করুন

    অস্থিরতা বাড়ায় নেপালে সামগ্রিক নিরাপত্তার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সেনাবাহিনী

    আপডেট সময় ১২:৪৭:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণ সংলাপের পথে আসার আহ্বান জানিয়েছেন নেপাল সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেল। তবে তার আহ্বানের পরও রাজনৈতিক অস্থিরতা না কমায় দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সেনাবাহিনী।

    মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ১০টার দিকে নেপাল সেনাবাহিনীর সদস্যরা রাজধানী কাঠমান্ডুসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নিতে শুরু করেন। সেনারা এখন দেশটির অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে।

    নেপালের প্রতিরক্ষা জনসংযোগ অধিদপ্তরের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, কিছু গোষ্ঠী চলমান অস্থিরতাকে কাজে লাগিয়ে সাধারণ মানুষের জীবন ও সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তির মারাত্মক ক্ষতি করছে। এ ধরনের কার্যকলাপ বন্ধ না হলে সেনাবাহিনী পুরোপুরি মোতায়েন হয়ে অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনবে। একই সঙ্গে দেশজুড়ে আরও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ঠেকাতে নাগরিকদের সংযত থাকতে ও সহযোগিতা করতে আহ্বান জানানো হয়েছে।
    বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সেনাবাহিনী মোতায়েন কার্যক্রম শুরু হলে সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নতুন করে মূল্যায়ন করা হবে।

    এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক ভিডিও বার্তায় সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেল বলেন, “বর্তমান কঠিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা ও জাতির সর্বোচ্চ স্বার্থ রক্ষা করা সবার দায়িত্ব। আমি বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত করার অনুরোধ করছি এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে সংলাপের পথে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।”