ঢাকা ১১:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

আমরা এক ঐতিহাসিক মুহূর্তে আছি: আলী রীয়াজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০২:৩৪:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / ২৭০ বার পড়া হয়েছে

আমরা এক ঐতিহাসিক মুহূর্তে আছি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি আরও বলেন, আমরা অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে একটি জাতীয় সনদে উপনীত হতে চাই।

জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে শনিবার (২৬ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের এলডি হলে সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, যারা আমাদের এই সুযোগ করে দিয়েছেন সেই বীর শহীদদের প্রতি আমাদের ঋণ আছে।

আমাদের এই সুযোগ যারা তৈরি করে দিয়েছেন, বীর শহীদরা, তাদের কাছে আমাদের ঋণ আছে। এই সুযোগ যেন কোনো অবস্থাতেই হাতছাড়া না হয়ে যায়। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এমন এক বাংলাদেশ তৈরি করতে হবে যাতে কাউকে নিপীড়নের শিকার হতে না হয়। বিচার বা বিচার বর্হিভূত ব্যবস্থার মধ্যে যেন তাকে মোকাবিলা করতে না হয়। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই আমাদের যাত্রা।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা জীবন বাজি রেখে লড়াই করেছেন। গত ১৬ বছর ধরে যখন ফ্যাসিবাদী শাসনের নিপীড়ন বাংলাদেশকে জর্জরিত করে ফেলেছিল।, সে সময় , গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন তারা।

বিচারিক এবং বিচারিক প্রক্রিয়ার বাইরে বিচার বর্হিভূতভাবে আপনাদের (জামায়াতে ইসলামী) নেতাকর্মীরা নিপীড়ন, অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। তারপরও আপনারা সাহসিকতার সঙ্গে তা মোকাবিলা করেছেন। সেই সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন। সেজন্য আপনাদের অভিনন্দন। আপনাদের প্রতি আমাদের সবার সমর্থন থাকছে।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আপনাদের নিরন্তর সংগ্রাম ও অবদান নিঃসন্দেহে সবার স্মরণে থাকবে। নতুন করে আবার পুর্নগঠিত হবে দেশ এবং জাতি। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন করতেও আপনাদের ভূমিকা থাকবে এটা আমরা আশা করি। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের সময় আপনাদের (জামায়াতে ইসলামী) কর্মীরা সাহসিকতার সঙ্গে গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেছেন, প্রাণ দিয়েছেন। নেতারা কারাগারে আটক থেকেছেন, লড়াই সংগ্রামে উপস্থিত হয়েছেন।

রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য অর্ন্তবর্তী সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেই উদ্যোগ সরকারের উদ্যোগ নয়, এটি বাংলাদেশের মানুষের দীর্ঘদিনের আকাঙক্ষার ফল। তারই অংশ হিসেবে অন্তর্বতী সরকারের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্র সংস্কারের প্রয়োজন এবং তাগিদ রাজনৈতিক দল, জনসমাজ, ছাত্র, সাধারণ মানুষের কাছ থেকে এসেছে। সেই প্রক্রিয়ায় আপনারা (জামায়াতে ইসলামী) আন্তরিকভাবে অংশগ্রহণ করায় আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড.ইফতেখারুজ্জামান ও জামায়াতে ইসলামের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আমরা এক ঐতিহাসিক মুহূর্তে আছি: আলী রীয়াজ

আপডেট সময় ০২:৩৪:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

আমরা এক ঐতিহাসিক মুহূর্তে আছি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি আরও বলেন, আমরা অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে একটি জাতীয় সনদে উপনীত হতে চাই।

জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে শনিবার (২৬ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের এলডি হলে সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, যারা আমাদের এই সুযোগ করে দিয়েছেন সেই বীর শহীদদের প্রতি আমাদের ঋণ আছে।

আমাদের এই সুযোগ যারা তৈরি করে দিয়েছেন, বীর শহীদরা, তাদের কাছে আমাদের ঋণ আছে। এই সুযোগ যেন কোনো অবস্থাতেই হাতছাড়া না হয়ে যায়। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এমন এক বাংলাদেশ তৈরি করতে হবে যাতে কাউকে নিপীড়নের শিকার হতে না হয়। বিচার বা বিচার বর্হিভূত ব্যবস্থার মধ্যে যেন তাকে মোকাবিলা করতে না হয়। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই আমাদের যাত্রা।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা জীবন বাজি রেখে লড়াই করেছেন। গত ১৬ বছর ধরে যখন ফ্যাসিবাদী শাসনের নিপীড়ন বাংলাদেশকে জর্জরিত করে ফেলেছিল।, সে সময় , গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন তারা।

বিচারিক এবং বিচারিক প্রক্রিয়ার বাইরে বিচার বর্হিভূতভাবে আপনাদের (জামায়াতে ইসলামী) নেতাকর্মীরা নিপীড়ন, অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। তারপরও আপনারা সাহসিকতার সঙ্গে তা মোকাবিলা করেছেন। সেই সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন। সেজন্য আপনাদের অভিনন্দন। আপনাদের প্রতি আমাদের সবার সমর্থন থাকছে।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আপনাদের নিরন্তর সংগ্রাম ও অবদান নিঃসন্দেহে সবার স্মরণে থাকবে। নতুন করে আবার পুর্নগঠিত হবে দেশ এবং জাতি। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন করতেও আপনাদের ভূমিকা থাকবে এটা আমরা আশা করি। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের সময় আপনাদের (জামায়াতে ইসলামী) কর্মীরা সাহসিকতার সঙ্গে গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেছেন, প্রাণ দিয়েছেন। নেতারা কারাগারে আটক থেকেছেন, লড়াই সংগ্রামে উপস্থিত হয়েছেন।

রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য অর্ন্তবর্তী সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেই উদ্যোগ সরকারের উদ্যোগ নয়, এটি বাংলাদেশের মানুষের দীর্ঘদিনের আকাঙক্ষার ফল। তারই অংশ হিসেবে অন্তর্বতী সরকারের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্র সংস্কারের প্রয়োজন এবং তাগিদ রাজনৈতিক দল, জনসমাজ, ছাত্র, সাধারণ মানুষের কাছ থেকে এসেছে। সেই প্রক্রিয়ায় আপনারা (জামায়াতে ইসলামী) আন্তরিকভাবে অংশগ্রহণ করায় আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড.ইফতেখারুজ্জামান ও জামায়াতে ইসলামের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।