সাভারের হেমায়েতপুরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পুলিশকে মরদেহ নিয়ে যেতে বলা স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সিপিসি-২, র‌্যাব-৪ এর উপ-পরিচালক মেজর জালিস মাহমুদ খান শুক্রবার (১৬ মে) রাত দুটার দিকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফতার স্বামীর নাম সাজ্জাদ হোসেন মানিক। তিনি সাজ্জাদ হোসেন মানিক নওগাঁ জেলা সদরের আক্কাস আলী মোল্লার ছেলে। তিনি হত্যার উদ্দেশ্যে নওগাঁ থেকে বেড়ানোর কথা বলে স্ত্রীকে সাভারে নিয়ে আসেন।

এর আগে সন্ধ্যায় বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

নিহত স্ত্রীর নাম রুমানা আক্তার (১৮)। তিনি রংপুর জেলার পীরগাছা থানার সোনারায় গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের মেয়ে।

র‌্যাব জানায়, গ্রেফতার সাজ্জাদের সঙ্গে রোমানা আক্তারের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরে গত বছরের ৩০ জুলাই উভয় পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে রোমানা তার স্বামীর সঙ্গে নওগাঁয় তার শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করতে থাকেন। তবে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। এর জেরে সাজ্জাদ তার স্ত্রী রোমানাকে শারীরিক ও মানসিক অত্যচার করতেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ হয়।

তবে গত ১০ এপ্রিল সাজ্জাদ হোসেন স্ত্রী রুমানাকে নিয়ে বড় ভাইয়ের ভাড়া বাসা সাভারে বেড়াতে আসেন। ২৩ এপ্রিল সকাল নয়টার দিকে রোমানার বাবা জানতে পারেন তার মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। খবর পেয়ে রোমানার বাবা ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারেন সকাল সাড়ে আটটা থেকে নয়টার মধ্যে তার তার মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। হত্যার পর জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করে মরদেহ উদ্ধার করতে বলে পালিয়ে যান সাজ্জাদ।

এ ঘটনায় রোমানার বাবা বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর ছায়াতদন্ত শুরু করে র‌্যাব-৪। পরে র‌্যাব-৪ ও র‌্যাব-১২ এর যৌথ অভিযানে বগুড়া থেকে গ্রেফতার হন সাজ্জাদ।

সিপিসি-২, র‌্যাব-৪ এর উপ-পরিচালক মেজর জালিস মাহমুদ খান বলেন, গ্রেফতার সাজ্জাদ পারিবারিক কলহের জেরে শ্বাসরোধ করে স্ত্রীকে হত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।