সাগর-রুনি হত্যা তদন্তে এক যুগেও আলোর দেখা নেই, ১১৮ বার পেছাল প্রতিবেদন

- আপডেট সময় ১২:৪৫:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
- / ১১ বার পড়া হয়েছে
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের প্রায় এক যুগ পেরিয়ে গেলেও এখনও আলোর মুখ দেখেনি মামলার তদন্ত। আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমা আরও একবার পিছিয়ে ২১ মে নির্ধারণ করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ১১৮তম বার পেছানো হলো প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম এই নতুন দিন ধার্য করেন। এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মো. আজিজুল হক প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর থেকে মামলার তদন্তভার পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সর্বশেষ ২ মার্চ আদালত পিবিআইকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিল।
পিবিআইয়ের এক কর্মকর্তা জানান, মামলায় এ পর্যন্ত প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলা হয়েছে, যাদের ব্যাপারে আদালতের অনুমতি নিতে হয়নি। তদন্তের স্বার্থে কারাগারে থাকা ছয়জনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, যাদের মধ্যে রয়েছেন— অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতিসহ প্রাক্তন সেনা, পুলিশ ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা।
তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন— বরখাস্ত সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মশিউর রহমান, প্রাক্তন বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক নৌ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহেল, এবং হত্যা মামলার অভিযুক্ত হুমায়ুন কবির ও পলাশ রুদ্র পাল।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজ বাসায় খুন হন মাছরাঙা টিভির বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনি। সেই সময় তাদের পাঁচ বছরের ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ বাসাতেই ছিল। পরদিন রুনির ভাই নওশের আলী রোমান বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এক যুগ পার হলেও এখনও বিচার তো দূরের কথা, একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদনও আদালতে জমা পড়েনি—যা এই হত্যাকাণ্ডের বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলছে।