গুজরাটের আহমেদাবাদে একটি যাত্রীবাহী বিমান ভেঙে পড়েছে। বিমানটি লন্ডনগামী ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে এবং এই দুর্ঘটনায় বহু  হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছে মেঘানিনগরে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। বিমানটি উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে, যার ফলে এটি খুব বেশি উচ্চতায় ওঠতে পারেনি। দুর্ঘটনাস্থল একটি লোকালয় হওয়ায় প্রাণহানির আশঙ্কা আরও বাড়ছে।

বিমানটি ভেঙে পড়ার সাথে সাথেই এতে আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থলে দ্রুত ছুটে গেছে দমকলের অন্তত সাতটি ইঞ্জিন এবং উদ্ধারকাজ পুরোদমে চলছে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

দুর্ঘটনার পরপরই তথ্যের কিছুটা ভিন্নতা দেখা যাচ্ছিল। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল, বিমানটিতে বহু যাত্রী ছিলেন। সংবাদ সংস্থা এএনআই গুজরাট পুলিশকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, বিমানটিতে বিমানকর্মী এবং যাত্রী মিলিয়ে মোট ২৪২ জন ছিলেন।

তবে, রয়টার্স জানিয়েছে, এয়ার ইন্ডিয়ার এই বিমানটি ব্রিটেনের বার্মিংহামের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল এবং এতে ১৩৩ জন যাত্রী ছিলেন।

অন্য কয়েকটি সূত্রের দাবি, বিমানটি আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের উদ্দেশে যাচ্ছিল। বিমান সংস্থা নিয়েও কিছু অস্পষ্টতা ছিল, তবে এটি এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট ছিল বলেই এখন নিশ্চিত হওয়া গেছে।

দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশের সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে যাতে উদ্ধারকাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা যায়। আহমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার জিএস মালিক প্রথমে বলেছিলেন, “একটি বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে সেটি কোন ধরনের বিমান, তা এখনও স্পষ্ট নয়।” যদিও পরবর্তীতে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে।

এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলকে ফোন করেছেন এবং গুজরাট সরকারকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন।

বিমান দুর্ঘটনার কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়। উড্ডয়নের পরপরই দুর্ঘটনা ঘটলে সাধারণত যান্ত্রিক ত্রুটি, ইঞ্জিন ফেলিউর, বা পাখির সাথে সংঘর্ষের মতো কারণগুলো হয়ে থাকে।