০৪:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

সোহেল রানার অভিনয় ও রাজনীতি থেকে বিদায়

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:৫৪:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৮ বার পড়া হয়েছে

চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী অভিনেতা ও প্রযোজক সোহেল রানা আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনয়কে বিদায় জানালেন। দীর্ঘ ৫২ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন তিনি।

শুধু চলচ্চিত্রই নয়, রাজনীতির মাঠেও একসময় সক্রিয় ছিলেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা। তবে এবার অভিনয় এবং সক্রিয় রাজনীতি দুটো থেকেই সরে দাঁড়াচ্ছেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে সোহেল রানা বলেন, “১৯৭৩ সালে প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়াই। দীর্ঘ এই পথচলায় একটা সময় তো শেষ হবেই। অভিনয় এখনো আমার হৃদয়ে থাকলেও, পেশাদার অভিনয়ে আর দেখা যাবে না আমাকে। সক্রিয় রাজনীতি এবং পেশাদার অভিনয় থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

শরীরটাও আর আগের মতো সঙ্গ দিচ্ছে না।” তবে, এখনো একটি সিনেমা পরিচালনার ইচ্ছা পোষণ করেছেন তিনি। মূলত বয়সের কারণেই এই অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৭৯ বছর বয়সী সোহেল রানা।

অভিনয় ছাড়ার সিদ্ধান্তের পাশাপাশি দেশের চলচ্চিত্রশিল্পের বর্তমান অবস্থা নিয়েও আক্ষেপ প্রকাশ করেন সোহেল রানা। তিনি বলেন, “চলচ্চিত্র জগৎ তো এখন প্রায় শেষ। এখন যারা কাজ করছেন, তাদের সঙ্গে আমাদের প্রজন্মের তেমন মিল নেই। আমাদের যেভাবে ব্যবহার করার কথা, তাদের সেই যোগ্যতাও নেই।

বিদেশি সিনেমায় দেখি, আমাদের বয়সী শিল্পীরাও চমৎকার কাজ করছেন, তাদের জন্য আলাদা চরিত্র ও গল্প লেখা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশে বয়স হলে শিল্পীদের শুধু বাবা-মা, চাচাদের চরিত্রে ব্যবহার করা হয়।

ভালো সুযোগ থাকলে এ ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে আপত্তি নেই, কিন্তু তেমন সুযোগের অভাব।” দর্শকদের ভালোবাসা ও সম্মান নিয়েই তিনি এই জগৎ থেকে বিদায় নিতে চান বলে জানান।

বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’-এর প্রযোজক হিসেবে ১৯৭২ সালে চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা)। এরপর ১৯৭৪ সালে কাজী আনোয়ার হোসেনের বিখ্যাত চরিত্র ‘মাসুদ রানা’ সিনেমায় অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন এবং সিনেমাটি পরিচালনাও করেন তিনি।

এরপর থেকে তিনি ঢাকাই সিনেমার একজন জনপ্রিয় নায়কে পরিণত হন। সর্বশেষ তাকে তানভীর হোসেনের ‘মধ্যবিত্ত’ সিনেমায় দেখা গেছে, যদিও গত এক দশক ধরে তিনি সিনেমায় অনিয়মিত ছিলেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

সোহেল রানার অভিনয় ও রাজনীতি থেকে বিদায়

আপডেট সময় ০৪:৫৪:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী অভিনেতা ও প্রযোজক সোহেল রানা আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনয়কে বিদায় জানালেন। দীর্ঘ ৫২ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন তিনি।

শুধু চলচ্চিত্রই নয়, রাজনীতির মাঠেও একসময় সক্রিয় ছিলেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা। তবে এবার অভিনয় এবং সক্রিয় রাজনীতি দুটো থেকেই সরে দাঁড়াচ্ছেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে সোহেল রানা বলেন, “১৯৭৩ সালে প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়াই। দীর্ঘ এই পথচলায় একটা সময় তো শেষ হবেই। অভিনয় এখনো আমার হৃদয়ে থাকলেও, পেশাদার অভিনয়ে আর দেখা যাবে না আমাকে। সক্রিয় রাজনীতি এবং পেশাদার অভিনয় থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

শরীরটাও আর আগের মতো সঙ্গ দিচ্ছে না।” তবে, এখনো একটি সিনেমা পরিচালনার ইচ্ছা পোষণ করেছেন তিনি। মূলত বয়সের কারণেই এই অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৭৯ বছর বয়সী সোহেল রানা।

অভিনয় ছাড়ার সিদ্ধান্তের পাশাপাশি দেশের চলচ্চিত্রশিল্পের বর্তমান অবস্থা নিয়েও আক্ষেপ প্রকাশ করেন সোহেল রানা। তিনি বলেন, “চলচ্চিত্র জগৎ তো এখন প্রায় শেষ। এখন যারা কাজ করছেন, তাদের সঙ্গে আমাদের প্রজন্মের তেমন মিল নেই। আমাদের যেভাবে ব্যবহার করার কথা, তাদের সেই যোগ্যতাও নেই।

বিদেশি সিনেমায় দেখি, আমাদের বয়সী শিল্পীরাও চমৎকার কাজ করছেন, তাদের জন্য আলাদা চরিত্র ও গল্প লেখা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশে বয়স হলে শিল্পীদের শুধু বাবা-মা, চাচাদের চরিত্রে ব্যবহার করা হয়।

ভালো সুযোগ থাকলে এ ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে আপত্তি নেই, কিন্তু তেমন সুযোগের অভাব।” দর্শকদের ভালোবাসা ও সম্মান নিয়েই তিনি এই জগৎ থেকে বিদায় নিতে চান বলে জানান।

বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’-এর প্রযোজক হিসেবে ১৯৭২ সালে চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা)। এরপর ১৯৭৪ সালে কাজী আনোয়ার হোসেনের বিখ্যাত চরিত্র ‘মাসুদ রানা’ সিনেমায় অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন এবং সিনেমাটি পরিচালনাও করেন তিনি।

এরপর থেকে তিনি ঢাকাই সিনেমার একজন জনপ্রিয় নায়কে পরিণত হন। সর্বশেষ তাকে তানভীর হোসেনের ‘মধ্যবিত্ত’ সিনেমায় দেখা গেছে, যদিও গত এক দশক ধরে তিনি সিনেমায় অনিয়মিত ছিলেন।