শেখ হাসিনার বিচারের শুনানি অচিরেই: আইন উপদেষ্টা

- আপডেট সময় ০৫:১৬:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
- / ২৫৮ বার পড়া হয়েছে
মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রধান আসামি হিসেবে শেখ হাসিনার মামলার বিচারের শুনানি পর্ব অচিরেই শুরু হচ্ছে। এই সরকারের শাসনামলেই এই বিচারের রায় পেয়ে যাব আমরা। বললেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে সোমবার (২৬ মে) এসব কথা বলেন তিনি।
আসিফ নজরুল লেখেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের প্রক্রিয়া দৃশ্যমান করার দাবি আছে সমাজে। এটি দৃশ্যমান করা হয়েছিল আট মাস আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত পুনর্গঠনের মধ্য দিয়েই।
এরপর তদন্তকারী অফিস ও প্রসিকিউশন অফিস পুনর্গঠন করা হয়েছে। তদন্তকারী দল কয়েকটি মামলার তদন্ত শেষ করেছে। প্রসিকিউশন টিম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে একটি মামলার ফরমাল চার্জ গঠন করেছে। রবিবার এটি ট্রাইব্যুনালে জমা দেওয়ার পর তা আমলে নেওয়া হয়েছে।
ট্রাইব্যুনাল ফরমাল চার্জ আমলে নেওয়ার মাধ্যমে একটি বিচারপ্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। সেটি কাল বাংলাদেশে শুরু হয়ে গেল।
আইন উপদেষ্টা লেখেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রধান আসামি হিসেবে শেখ হাসিনার মামলার বিচারের শুনানি পর্ব শুরু হচ্ছে অচিরেই। ইনশাল্লাহ, ড. ইউনূস স্যারের সরকারের শাসনামলেই এই বিচারের রায় পেয়ে যাব আমরা। গণহত্যার বিচার, আমাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর চাঁনখারপুল এলাকায় সংঘটিত গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রবিবার (২৫ মে) প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করা হয়। আদালত তা আমলে নিয়েছেন।
গত বছরের পাঁচ আগস্ট চাঁনখারপুল এলাকায় নিরস্ত্র ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারে শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ মাহদি হাসান জুনায়েদ, মো. ইয়াকুব, মো. রাকিব হাওলাদার, মো. ইসমামুল হক ও মানিক মিয়া শহীদ হন।
ওই হত্যার ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আটজনকে আসামি করে গত ২১ এপ্রিল চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। সেই প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আকারে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেছে প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ)।
মামলার আট আসামি হলেন সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ্ আলম মো. আখতারুল ইসলাম, রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল, শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক মো. আরশাদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন হোসেন, ইমাজ হোসেন ও মো. নাসিরুল ইসলাম।
আট আসামির মধ্যে চারজন এখন কারাগারে, অন্যরা পলাতক। গ্রেফতাররা হলেন পরিদর্শক আরশাদ, কনস্টেবল মো. সুজন, ইমাজ হোসেন ইমন ও নাসিরুল ইসলাম।