ঢাকা ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০২ জুন ২০২৫

‘আমাকে আর কোনো দিন খোঁজার দরকার নাই’

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০৫:৩৮:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
  • / ২৬১ বার পড়া হয়েছে

ভবঘুরের মতো এদিক সেদিক ঘুরছিলেন এক ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ। একসময় অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎকালীন তার পকেট থেকে পাওয়া যায় একটি চিরকুট। সেই চিরকুটে লেখা, আমি চিরদিনের জন্য বিদায় নিলাম, আমাকে আর কোনো দিন খোঁজার দরকার নাই। আর একটা কথা, আমার মরণের জন্য কেউ দায়ী না, আমি নিজের মরণের জন্য নিজেই দায়ী। শুক্রবার (৩০ মে) পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ঘটেছে এমন ঘটনা।

জানা যায়, গত দুদিন ওই বৃদ্ধকে সৈকতে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন অনেকে। শুক্রবার সন্ধ্যায় হঠাৎ কুয়াকাটা চৌরাস্তায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ী জনি আলমগীরসহ কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক তাকে কুয়াকাটা ২০ শয্যা হাসপাতালে নেন।

জনি আলমগীর জানান, আমার ট্যুরিস্ট বোট কাউন্টারের সামনে তাকে পরে থাকতে দেখে তার বাড়ির কথা জিজ্ঞেস করেছি, তখন তিনি জানান তার বাড়ি বরিশাল। এরপর আর কিছু বলতে পারেননি, এখন প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে তার জ্ঞান ফেরেনি। কর্তব্যরত ডাক্তার পটুয়াখালী পাঠিয়েছেন। আমরা চেষ্টা করছি তার পরিবারের খোঁজ নিতে। সেই সঙ্গে সুস্থ করার চেষ্টা করছি, যাতে সুস্থ হয়ে তার পরিবারের ঠিকানা দিতে পারেন।

কুয়াকাটা ২০ শয্যা হাসপাতালের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. রিয়াজ জানান, কয়েকজন যুবক অসুস্থ এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে এলে আমরা চিকিৎসা দিয়েছি। তার বয়স আনুমানিক ষাটের ঊর্ধ্বে। তাকে দেখে ভারসাম্যহীন মনে হচ্ছে না, তবে তিনি স্ট্রোক করতে পারেন বা শরীর দুর্বল হয়ে অসুস্থ হতে পারেন। আমরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

‘আমাকে আর কোনো দিন খোঁজার দরকার নাই’

আপডেট সময় ০৫:৩৮:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

ভবঘুরের মতো এদিক সেদিক ঘুরছিলেন এক ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ। একসময় অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎকালীন তার পকেট থেকে পাওয়া যায় একটি চিরকুট। সেই চিরকুটে লেখা, আমি চিরদিনের জন্য বিদায় নিলাম, আমাকে আর কোনো দিন খোঁজার দরকার নাই। আর একটা কথা, আমার মরণের জন্য কেউ দায়ী না, আমি নিজের মরণের জন্য নিজেই দায়ী। শুক্রবার (৩০ মে) পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ঘটেছে এমন ঘটনা।

জানা যায়, গত দুদিন ওই বৃদ্ধকে সৈকতে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন অনেকে। শুক্রবার সন্ধ্যায় হঠাৎ কুয়াকাটা চৌরাস্তায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ী জনি আলমগীরসহ কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক তাকে কুয়াকাটা ২০ শয্যা হাসপাতালে নেন।

জনি আলমগীর জানান, আমার ট্যুরিস্ট বোট কাউন্টারের সামনে তাকে পরে থাকতে দেখে তার বাড়ির কথা জিজ্ঞেস করেছি, তখন তিনি জানান তার বাড়ি বরিশাল। এরপর আর কিছু বলতে পারেননি, এখন প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে তার জ্ঞান ফেরেনি। কর্তব্যরত ডাক্তার পটুয়াখালী পাঠিয়েছেন। আমরা চেষ্টা করছি তার পরিবারের খোঁজ নিতে। সেই সঙ্গে সুস্থ করার চেষ্টা করছি, যাতে সুস্থ হয়ে তার পরিবারের ঠিকানা দিতে পারেন।

কুয়াকাটা ২০ শয্যা হাসপাতালের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. রিয়াজ জানান, কয়েকজন যুবক অসুস্থ এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে এলে আমরা চিকিৎসা দিয়েছি। তার বয়স আনুমানিক ষাটের ঊর্ধ্বে। তাকে দেখে ভারসাম্যহীন মনে হচ্ছে না, তবে তিনি স্ট্রোক করতে পারেন বা শরীর দুর্বল হয়ে অসুস্থ হতে পারেন। আমরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি।