ঢাকা ০৭:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫

বিশ্বের ১০টি উঁচু ভবনের ৯টিই এশিয়ায়!

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০৫:৪২:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
  • / ২৬৪ বার পড়া হয়েছে

আধুনিক বিশ্বে, যেখানে শহর আর নগরগুলো দিনে দিনে আরও উন্নত হচ্ছে। আর এই উন্নতির প্রতীক হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে আকাশচুম্বী সব ভবন। বর্তমান প্রযুক্তির উৎকর্ষে বিভিন্ন দেশ যেন পাল্লা দিয়ে তৈরি করছে চোখ ধাঁধানো সব স্থাপত্য। যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘দ্য কাউন্সিল অন টল বিল্ডিংস অ্যান্ড আরবান হ্যাবিট্যাট’ (CTBUH) সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ১০টি ভবনের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। আর সেই তালিকা বলছে, বিশ্বের সেরা ১০টি উঁচু ভবনের মধ্যে ৯টিই এশিয়া মহাদেশে অবস্থিত! চলুন, জেনে নেওয়া যাক এই বিস্ময়কর ভবনগুলো সম্পর্কে।

বুর্জ খলিফা, দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত (৮২৮ মিটার)

বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন হিসেবে প্রথম স্থানে রয়েছে দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের নামে এর নামকরণ করা হয়েছে। ৮২৮ মিটার বা ২,৭১৭ ফুট উঁচু এই ১৬০ তলা ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০১০ সালে। ইসলামিক স্থাপত্যে অনুপ্রাণিত এই আইকনিক ভবনে আবাসিক অ্যাপার্টমেন্ট, অফিস এবং হোটেল রয়েছে। এর পর্যবেক্ষণ ডেক থেকে দুবাইয়ের শ্বাসরুদ্ধকর দৃশ্য দেখা যায়।

মারদেকা ১১৮, কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া (৬৭৯ মিটার)

দ্বিতীয় স্থানে আছে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের মারদেকা ১১৮। এটি পিএনবি ১১৮ নামেও পরিচিত এবং ২০২৩ সালে এর উদ্বোধন করা হয়। ৬৭৯ মিটার বা ২,২২৭ ফুট উঁচু এই ১১৪ তলা ভবনটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে উঁচু ভবন। এতে হোটেল, সুসজ্জিত অ্যাপার্টমেন্ট এবং অফিস রয়েছে। এর আধুনিক নকশায় মালয়েশিয়ার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ফুটে উঠেছে। মালয় ভাষায় ‘মারদেকা’ অর্থ স্বাধীনতা।

সাংহাই টাওয়ার, সাংহাই, চীন (৬৩২ মিটার)

তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে চীনের সাংহাই টাওয়ার। ৬৩২ মিটার বা ২,০৭৩ ফুট উঁচু এই ১২৮ তলা ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০১৫ সালে। জেনসলার আর্কিটেকচার দ্বারা ডিজাইন করা এই ভবনে হোটেল এবং অফিস ছাড়াও ছাদে একটি অসাধারণ বাগান রয়েছে। এর নকশা এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যা বাতাসের চাপ কমাতে সাহায্য করে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু পর্যবেক্ষণ স্থান এবং দ্রুততম এলিভেটরের জন্য বিখ্যাত।

মক্কা রয়্যাল ক্লক টাওয়ার, মক্কা, সৌদি আরব (৬০৬ মিটার)

বিশ্বের চতুর্থ উচ্চতম ভবন হলো সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরীতে অবস্থিত মক্কা রয়্যাল ক্লক টাওয়ার। ২০১২ সালে নির্মিত ৬০১ মিটার বা ১,৯৭১ ফুট উঁচু এই ১২০ তলা টাওয়ারটি আবরাজ আল বাইত কমপ্লেক্সের অংশ। এতে হোটেল, বিপণীবিতান এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় ঘড়িটি রয়েছে, যা কয়েক মাইল দূর থেকেও দেখা যায়। হজ ও ওমরাহ পালন করতে আসা অনেক মুসলিম এই দর্শনীয় স্থাপত্যটি পরিদর্শন করেন। এটি মধ্যপ্রাচ্যের দ্বিতীয় উঁচু ভবন।

পিং অ্যান ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স সেন্টার, শেনজেন, চীন (৫৯৯ মিটার)

চীনের শেনজেন শহরে অবস্থিত পিং অ্যান ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স সেন্টার বিশ্বের পঞ্চম উঁচু ভবন। ৫৯৯ মিটার বা ১,৯৬৫ ফুট উঁচু এই ১১৫ তলা ভবনটি ২০১৭ সালে নির্মিত হয়েছে। কোহন পেডারসেন ফক্স অ্যাসোসিয়েটস দ্বারা ডিজাইন করা এই আকাশচুম্বী ভবনে অফিস, হোটেল এবং খুচরা পণ্য বিক্রির জায়গা রয়েছে। এর মসৃণ-চকচকে নকশা এবং এলইডি আলোকসজ্জা এটিকে বিশেষ বৈশিষ্ট্য এনে দিয়েছে।

লোটে ওয়ার্ল্ড টাওয়ার, সিউল, দক্ষিণ কোরিয়া (৫৫৫ মিটার)

দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে অবস্থিত লোটে ওয়ার্ল্ড টাওয়ার ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। ২০১৭ সালে চালু হওয়া এই ৫৫৫ মিটার বা ১,৮১৯ ফুট উঁচু ১২৩ তলা ভবনটি দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে উঁচু ভবন। কোহন পেডারসেন ফক্স অ্যাসোসিয়েটস এটিরও নকশা করেছে। এখানে খুচরা পণ্য বিক্রির স্থান, অভিজাত হোটেল এবং আবাসিক অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে, সাথে সিউল শহরের চমৎকার দৃশ্য দেখার জন্য একটি পর্যবেক্ষণ ডেকও আছে

ওয়ান ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র (৫৪৬ মিটার)

সপ্তম স্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ওয়ান ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার। ৫৪১ মিটার বা ১,৭৭৬ ফুট উঁচু এই ৯৪ তলা ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০১৪ সালে। ২০০১ সালের ৯/১১ সন্ত্রাসী হামলায় বিধ্বস্ত ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের স্থানে এটি গড়ে তোলা হয়েছে। এটি যেন কোনো ধ্বংসস্তূপ থেকে নতুন করে মাথা তুলে দাঁড়ানোর এক প্রতীক। স্কিডমোর, ওয়িংস অ্যান্ড মেরিলের স্থপতি ডেভিড চাইল্ডস এর নকশা করেছেন। এখানে জাতীয় সেপ্টেম্বর ১১ স্মারক ও জাদুঘর, অফিস, থাকার জায়গা এবং পর্যবেক্ষণতল রয়েছে।

গুয়াংজু সিটিএফ ফিন্যান্স সেন্টার, গুয়াংজু, চীন (৫৩০ মিটার)

অষ্টম স্থানে আছে চীনের গুয়াংজু শহরের গুয়াংজু সিটিএফ ফিন্যান্স সেন্টার। ৫৩০ মিটার বা ১,৭৩৯ ফুট উঁচু এই ১১১ তলা ভবনটি ২০১৬ সালে নির্মিত হয় এবং এটি চীনের তৃতীয় উঁচু ভবন। কোহন পেডারসেন ফক্স অ্যাসোসিয়েটস এর নকশা করেছে। এই চমৎকার নকশার ভবনে অফিস, হোটেল এবং অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে, যা গুয়াংজু শহরের আধুনিকতাকে তুলে ধরে।

তিয়ানজিং সিটিএফ ফিন্যান্স সেন্টার, তিয়ানজিং, চীন (৫৩০ মিটার)

আশ্চর্যজনকভাবে, নবম স্থানে থাকা তিয়ানজিং সিটিএফ ফিন্যান্স সেন্টার-এর উচ্চতাও গুয়াংজু সিটিএফ ফিন্যান্স সেন্টারের সমান, অর্থাৎ ৫৩০ মিটার। তবে এটি ৯৭ তলার একটি ভবন। ২০১৯ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। রোনাল্ড লু অ্যান্ড পার্টনার এবং স্কিডমোর, ওয়িংস অ্যান্ড মেরিল যৌথভাবে এর নকশা করেছে। এতে অফিসের জায়গা, বিলাসবহুল পরিষেবাযুক্ত অ্যাপার্টমেন্ট এবং একটি হোটেল রয়েছে।

সিআইটিআইসি টাওয়ার, বেইজিং, চীন (৫২৮ মিটার)

তালিকায় দশম স্থানে আছে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের সিআইটিআইসি টাওয়ার, যা চীন জুন টাওয়ার নামেও পরিচিত। ৫২৮ মিটার বা ১,৭৩১ ফুট উঁচু এই ১০৯ তলা ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০১৮ সালে। বেইজিংয়ের সবচেয়ে উঁচু এই ভবনটি মূলত অফিস ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কোহন পেডারসেন ফক্স অ্যাসোসিয়েটস এর নকশা করেছে, যা ঐতিহ্যবাহী চীনা জাহাজ ‘জুন’-এর আদলে তৈরি।

এই তালিকা থেকে বোঝা যায়, এশিয়া মহাদেশ বর্তমানে বিশ্বের স্থাপত্য শিল্পে নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং দ্রুতগতিতে আকাশচুম্বী ভবনের সংখ্যা বাড়িয়ে চলেছে। এই ভবনগুলো কেবল উচ্চতায় রেকর্ড গড়ছে না, বরং আধুনিক ডিজাইন, প্রযুক্তি এবং স্থায়িত্বের দিক থেকেও নতুন মানদণ্ড তৈরি করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিশ্বের ১০টি উঁচু ভবনের ৯টিই এশিয়ায়!

আপডেট সময় ০৫:৪২:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

আধুনিক বিশ্বে, যেখানে শহর আর নগরগুলো দিনে দিনে আরও উন্নত হচ্ছে। আর এই উন্নতির প্রতীক হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে আকাশচুম্বী সব ভবন। বর্তমান প্রযুক্তির উৎকর্ষে বিভিন্ন দেশ যেন পাল্লা দিয়ে তৈরি করছে চোখ ধাঁধানো সব স্থাপত্য। যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘দ্য কাউন্সিল অন টল বিল্ডিংস অ্যান্ড আরবান হ্যাবিট্যাট’ (CTBUH) সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ১০টি ভবনের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। আর সেই তালিকা বলছে, বিশ্বের সেরা ১০টি উঁচু ভবনের মধ্যে ৯টিই এশিয়া মহাদেশে অবস্থিত! চলুন, জেনে নেওয়া যাক এই বিস্ময়কর ভবনগুলো সম্পর্কে।

বুর্জ খলিফা, দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত (৮২৮ মিটার)

বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন হিসেবে প্রথম স্থানে রয়েছে দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের নামে এর নামকরণ করা হয়েছে। ৮২৮ মিটার বা ২,৭১৭ ফুট উঁচু এই ১৬০ তলা ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০১০ সালে। ইসলামিক স্থাপত্যে অনুপ্রাণিত এই আইকনিক ভবনে আবাসিক অ্যাপার্টমেন্ট, অফিস এবং হোটেল রয়েছে। এর পর্যবেক্ষণ ডেক থেকে দুবাইয়ের শ্বাসরুদ্ধকর দৃশ্য দেখা যায়।

মারদেকা ১১৮, কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া (৬৭৯ মিটার)

দ্বিতীয় স্থানে আছে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের মারদেকা ১১৮। এটি পিএনবি ১১৮ নামেও পরিচিত এবং ২০২৩ সালে এর উদ্বোধন করা হয়। ৬৭৯ মিটার বা ২,২২৭ ফুট উঁচু এই ১১৪ তলা ভবনটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে উঁচু ভবন। এতে হোটেল, সুসজ্জিত অ্যাপার্টমেন্ট এবং অফিস রয়েছে। এর আধুনিক নকশায় মালয়েশিয়ার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ফুটে উঠেছে। মালয় ভাষায় ‘মারদেকা’ অর্থ স্বাধীনতা।

সাংহাই টাওয়ার, সাংহাই, চীন (৬৩২ মিটার)

তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে চীনের সাংহাই টাওয়ার। ৬৩২ মিটার বা ২,০৭৩ ফুট উঁচু এই ১২৮ তলা ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০১৫ সালে। জেনসলার আর্কিটেকচার দ্বারা ডিজাইন করা এই ভবনে হোটেল এবং অফিস ছাড়াও ছাদে একটি অসাধারণ বাগান রয়েছে। এর নকশা এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যা বাতাসের চাপ কমাতে সাহায্য করে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু পর্যবেক্ষণ স্থান এবং দ্রুততম এলিভেটরের জন্য বিখ্যাত।

মক্কা রয়্যাল ক্লক টাওয়ার, মক্কা, সৌদি আরব (৬০৬ মিটার)

বিশ্বের চতুর্থ উচ্চতম ভবন হলো সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরীতে অবস্থিত মক্কা রয়্যাল ক্লক টাওয়ার। ২০১২ সালে নির্মিত ৬০১ মিটার বা ১,৯৭১ ফুট উঁচু এই ১২০ তলা টাওয়ারটি আবরাজ আল বাইত কমপ্লেক্সের অংশ। এতে হোটেল, বিপণীবিতান এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় ঘড়িটি রয়েছে, যা কয়েক মাইল দূর থেকেও দেখা যায়। হজ ও ওমরাহ পালন করতে আসা অনেক মুসলিম এই দর্শনীয় স্থাপত্যটি পরিদর্শন করেন। এটি মধ্যপ্রাচ্যের দ্বিতীয় উঁচু ভবন।

পিং অ্যান ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স সেন্টার, শেনজেন, চীন (৫৯৯ মিটার)

চীনের শেনজেন শহরে অবস্থিত পিং অ্যান ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স সেন্টার বিশ্বের পঞ্চম উঁচু ভবন। ৫৯৯ মিটার বা ১,৯৬৫ ফুট উঁচু এই ১১৫ তলা ভবনটি ২০১৭ সালে নির্মিত হয়েছে। কোহন পেডারসেন ফক্স অ্যাসোসিয়েটস দ্বারা ডিজাইন করা এই আকাশচুম্বী ভবনে অফিস, হোটেল এবং খুচরা পণ্য বিক্রির জায়গা রয়েছে। এর মসৃণ-চকচকে নকশা এবং এলইডি আলোকসজ্জা এটিকে বিশেষ বৈশিষ্ট্য এনে দিয়েছে।

লোটে ওয়ার্ল্ড টাওয়ার, সিউল, দক্ষিণ কোরিয়া (৫৫৫ মিটার)

দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে অবস্থিত লোটে ওয়ার্ল্ড টাওয়ার ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। ২০১৭ সালে চালু হওয়া এই ৫৫৫ মিটার বা ১,৮১৯ ফুট উঁচু ১২৩ তলা ভবনটি দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে উঁচু ভবন। কোহন পেডারসেন ফক্স অ্যাসোসিয়েটস এটিরও নকশা করেছে। এখানে খুচরা পণ্য বিক্রির স্থান, অভিজাত হোটেল এবং আবাসিক অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে, সাথে সিউল শহরের চমৎকার দৃশ্য দেখার জন্য একটি পর্যবেক্ষণ ডেকও আছে

ওয়ান ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র (৫৪৬ মিটার)

সপ্তম স্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ওয়ান ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার। ৫৪১ মিটার বা ১,৭৭৬ ফুট উঁচু এই ৯৪ তলা ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০১৪ সালে। ২০০১ সালের ৯/১১ সন্ত্রাসী হামলায় বিধ্বস্ত ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের স্থানে এটি গড়ে তোলা হয়েছে। এটি যেন কোনো ধ্বংসস্তূপ থেকে নতুন করে মাথা তুলে দাঁড়ানোর এক প্রতীক। স্কিডমোর, ওয়িংস অ্যান্ড মেরিলের স্থপতি ডেভিড চাইল্ডস এর নকশা করেছেন। এখানে জাতীয় সেপ্টেম্বর ১১ স্মারক ও জাদুঘর, অফিস, থাকার জায়গা এবং পর্যবেক্ষণতল রয়েছে।

গুয়াংজু সিটিএফ ফিন্যান্স সেন্টার, গুয়াংজু, চীন (৫৩০ মিটার)

অষ্টম স্থানে আছে চীনের গুয়াংজু শহরের গুয়াংজু সিটিএফ ফিন্যান্স সেন্টার। ৫৩০ মিটার বা ১,৭৩৯ ফুট উঁচু এই ১১১ তলা ভবনটি ২০১৬ সালে নির্মিত হয় এবং এটি চীনের তৃতীয় উঁচু ভবন। কোহন পেডারসেন ফক্স অ্যাসোসিয়েটস এর নকশা করেছে। এই চমৎকার নকশার ভবনে অফিস, হোটেল এবং অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে, যা গুয়াংজু শহরের আধুনিকতাকে তুলে ধরে।

তিয়ানজিং সিটিএফ ফিন্যান্স সেন্টার, তিয়ানজিং, চীন (৫৩০ মিটার)

আশ্চর্যজনকভাবে, নবম স্থানে থাকা তিয়ানজিং সিটিএফ ফিন্যান্স সেন্টার-এর উচ্চতাও গুয়াংজু সিটিএফ ফিন্যান্স সেন্টারের সমান, অর্থাৎ ৫৩০ মিটার। তবে এটি ৯৭ তলার একটি ভবন। ২০১৯ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। রোনাল্ড লু অ্যান্ড পার্টনার এবং স্কিডমোর, ওয়িংস অ্যান্ড মেরিল যৌথভাবে এর নকশা করেছে। এতে অফিসের জায়গা, বিলাসবহুল পরিষেবাযুক্ত অ্যাপার্টমেন্ট এবং একটি হোটেল রয়েছে।

সিআইটিআইসি টাওয়ার, বেইজিং, চীন (৫২৮ মিটার)

তালিকায় দশম স্থানে আছে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের সিআইটিআইসি টাওয়ার, যা চীন জুন টাওয়ার নামেও পরিচিত। ৫২৮ মিটার বা ১,৭৩১ ফুট উঁচু এই ১০৯ তলা ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০১৮ সালে। বেইজিংয়ের সবচেয়ে উঁচু এই ভবনটি মূলত অফিস ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কোহন পেডারসেন ফক্স অ্যাসোসিয়েটস এর নকশা করেছে, যা ঐতিহ্যবাহী চীনা জাহাজ ‘জুন’-এর আদলে তৈরি।

এই তালিকা থেকে বোঝা যায়, এশিয়া মহাদেশ বর্তমানে বিশ্বের স্থাপত্য শিল্পে নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং দ্রুতগতিতে আকাশচুম্বী ভবনের সংখ্যা বাড়িয়ে চলেছে। এই ভবনগুলো কেবল উচ্চতায় রেকর্ড গড়ছে না, বরং আধুনিক ডিজাইন, প্রযুক্তি এবং স্থায়িত্বের দিক থেকেও নতুন মানদণ্ড তৈরি করছে।