ঈদের আকর্ষণে রেকাত আলীর গোলাপি মহিষ!

- আপডেট সময় ০৫:১২:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
- / ২৬১ বার পড়া হয়েছে
ঈদের আগে কোরবানির হাটে গরুর রাজত্বে এবার চমক দিয়েছে—গোলাপি রঙের মহিষ! নাটোরে দেখা মিলছে এমন মহিষের। নাটোর শহর থেকে মাত্র সাত কিলোমিটার দূরে, নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের পাশে ‘ড্রিমল্যান্ড ক্যাটেল অ্যান্ড ডেইরি ফার্মেই গড়ে তুলেছেন আলহাজ রেকাত আলী এক ব্যতিক্রমী পশুর রাজ্য।
তিন রঙা মহিষ, পুরোপুরি সাদা অ্যালবিনো মহিষ, আর কালো-গোলাপি-মিশ্র রঙের দৃষ্টিনন্দন মহিষ—দর্শনার্থীরা বলছেন, যেন ঈদের আগেই একটা মিনি চিড়িয়াখানা! রেকাত আলীর ভাষ্য, এসব মহিষ ভারতের অ্যালবিনো ও অ্যালবিনো রিভো জাতের। ভারতে যেগুলো এখন বিলুপ্তপ্রায়!
ফার্মে এই মহিষগুলোর ওজন ৫০০ থেকে ৮৫০ কেজি পর্যন্ত। আর দাম ৩ লাখ থেকে গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় সাড়ে ৮ লাখ টাকায়। নওগাঁ থেকে আসা এক ক্রেতা জানালেন, অনলাইনে ছবি দেখে দাম বেশি মনে হয়েছিল, তাই সরাসরি এসে দেখে কিনে ফেললাম।
এভাবেই প্রতিদিনই খামারে ভিড় করছেন দর্শনার্থী ও সম্ভাব্য ক্রেতারা। তবে এবার রেকাত আলীর মতে, অন্যান্য বছরের তুলনায় ভিড় আর বিক্রি—দুইই কম। এখানে শুধু মহিষই নয়, রয়েছে পাকিস্তানি শাহীওয়াল, ইন্দোনেশিয়ান লাল হুন্ডি, হাম বাঙ্কার ও দেশি জাতের বিশাল আকৃতির গরু।
ওজন ১০০০ থেকে ১২৫০ কেজি, দাম ১৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত! এছাড়া ফার্মে রয়েছে উন্নত জাতের ছাগল ও দুম্বাও। রেকাত আলী পশু হাটে গরু তোলেন না। বলেন, ফার্মেই দেখা, দরদাম সেরে—যার যা পছন্দ, সেটা নিয়েই ফিরছেন সবাই। তাতেই ঝামেলা কম।
ফার্মের গরুগুলো দেশীয় খাবারেই বড় হয়। ২০ বিঘা জমিতে চাষ করা হয় ঘাস, সঙ্গে থাকে ভাতের মাড়, খৈল আর গমের ভুসি। যেখানে দেশের অন্যান্য খামারিরা অনিশ্চয়তায়, সেখানে রেকাত আলীর গোলাপি মহিষ যেন আলো ছড়াচ্ছে।
তবে বাজারের মন্দা, খরচের বাড়তি চাপ আর খাদ্য সংকটে কৃষকদের মুখেও চিন্তার রেখা। এই ঈদে কোরবানির পশুর রঙে, আকৃতিতে চমক থাকলেও—ক্রয়ক্ষমতা যেন পড়ে গেছে ভাববার মতোই।