জোলির সঙ্গে ডিভোর্স নিয়ে যা জানালেন ব্র্যাড পিট

- আপডেট সময় ০৩:৩৭:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫
- / ২৬০ বার পড়া হয়েছে
হলিউডের আলোচিত সাবেক দম্পতি ব্র্যাড পিট ও অ্যাঞ্জেলিনা জোলির আট বছরের দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে গত ডিসেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে ডিভোর্স চূড়ান্ত হয়েছে। ব্র্যাড পিট ডিভোর্সের কয়েক মাস পর এবার বিষয়টি নিয়ে নিজের মত প্রকাশ করলেন।
সম্প্রতি জিকিউ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পিট বলেন, আমি মনে করি না এটা আমাদের জীবনে তেমন বড় কোনো বিষয় ছিল। এটা কেবল একটা আইনি প্রক্রিয়ার পরিসমাপ্তি।
২০০৫ সালের অ্যাকশন-কমেডি সিনেমা ‘মিস্টার এন্ড মিসেস স্মিথ’ ছবির সেটে প্রথম দেখা হয় ব্র্যাড ও জোলির। এরপর সম্পর্কে জড়ান তারা। ২০১৪ সালে বিয়ে করেন। মাত্র দুই বছর পরেই ২০১৬ সালে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেন জোলি।
জোলির অভিযোগ, ২০১৬ সালে একটি প্রাইভেট জেটের মধ্যে তিনি ও তার সন্তানরা ব্র্যাড পেটের শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন। যদিও এ নিয়ে ২০২২ সালে এফবিআই একটি তদন্ত চালিয়ে অভিযোগ নাকচ করে দেয়। কোনো চার্জ গঠন করাও হয়নি তখন। একই বছর শিশু সেবামূলক সংস্থার তদন্তও বন্ধ হয়ে যায়।
২০১৯ সালে আইনি দিক থেকে একক ঘোষণা পেলেও যৌথ সম্পত্তি ও সন্তানের অভিভাবকত্ব নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলে আইনি লড়াই। অবশেষে ২০২৪ সালে একটি চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছায় তারা।
জোলির আইনজীবী এক বিবৃতিতে জানান, আট বছর আগে অ্যাঞ্জেলিনা ডিভোর্সের আবেদন করেন। তখন থেকেই তিনি সন্তানদের শান্তি ও সুস্থ জীবনের দিকে মনোযোগ দিয়েছেন। এই পর্বটা শেষ হওয়ায় এখন কিছুটা স্বস্তি অনুভব করছেন তিনি।
জোলির ঘনিষ্ঠ এক সূত্র ইডব্লিউকে বলেন, তিনি কখনও ব্র্যাডের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বা ব্যক্তিগতভাবে কিছু বলেননি। সন্তানরা চাইত যে তিনি নিজেকে আরও বেশি প্রকাশ করুন। কিন্তু তিনি সবসময় মনে করিয়ে দিয়েছেন, আইন পরিবর্তনের মাধ্যমে সিস্টেম বদলানোই বেশি জরুরি।
অন্যদিকে নিজের ব্যক্তিজীবন নিয়ে গণমাধ্যমে আলোচনা প্রসঙ্গে ব্র্যাড পিট বলেন, গত ৩০ বছর ধরে এটা চলে আসছে। আমার জীবনের কোনো না কোনো অংশ সবসময়ই খবরের মধ্যে থাকে। এসব নিয়ে আমি মাথা ঘামাই না।