ঢাকা ১১:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

চিকিৎসার অভাবে জুলাইযোদ্ধার মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০১:৫০:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
  • / ২৫৯ বার পড়া হয়েছে

জুলাই আন্দোলনে গাজীপুরে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত গার্মেন্টস কর্মী ইমরান হোসাইন (৩০) মারা গেছেন। গাজীপুরের একটি ভাড়া বাসায় শুক্রবার (১৩ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিনি মারা যান। ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মুশুল্লী ইউনিয়নের চপই মোহনপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে শনিবার দুপুর দুইটার দিকে তার মরদেহ দাফন করা হয়।

নিহত ইমরান হোসাইন একই গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে। পেশায় তিনি গার্মেন্টস কর্মী ছিলেন। তার স্ত্রী ও দেড় বছরের এক সন্তান রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছিলেন গার্মেন্টস কর্মী ইমরান। তার বুকসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ছররা গুলির স্প্লিন্টার ছিল। শুক্রবার রাতে প্রচণ্ড ব্যথার একপর্যায়ে মারা যান তিনি।

নিহত ইমরান হোসাইনের চাচাতো ভাই মো. রাকিব মিয়া বলেন, ইমরান প্রায় সাত বছর ধরে গাজীপুরের একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন । সেখানে স্ত্রীসহ দেড় বছর বয়সী একমাত্র সন্তানকে নিয়ে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। গত বছরের ২৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যোগ দেন তিনি। এ সময় ইমরানের বুক, হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ছররা গুলি লাগে। এ অবস্থায় আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঢাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করলে সেখানে দুইদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।

তিনি বলেন, শরীর থেকে চিকিৎসকরা কিছু ছররা গুলি বের করলেও আরও অনেকগুলো শরীরে ছিল। এগুলো বের করতে কোনো হাসপাতালে যেতেন না ইমরান। ছররা গুলির কারণে ব্যথা অনুভূত হতো। তবুও তিনি এগুলো বের করতে ভয় পেতেন। নিয়মিত চাকরিও করছিলেন।

মো. রাকিব মিয়া আরও বলেন, কোরবানির ঈদের দুইদিন আগে ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে আসেন ইমরান। শুক্রবার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে গাজীপুরের ভাড়া বাসায় চলে যান। সেখানে প্রচণ্ড ব্যথার এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে অচেতন হয়ে যান। পরে তাকে গাজীপুরের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক অভি চৌধুরী বলেন, মারা যাওয়া জুলাই যোদ্ধা ইমরানের স্ত্রী-সন্তানের পাশে সরকার দাঁড়াবে। এটা প্রত্যাশা করি।

নিউজটি শেয়ার করুন

চিকিৎসার অভাবে জুলাইযোদ্ধার মৃত্যু

আপডেট সময় ০১:৫০:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

জুলাই আন্দোলনে গাজীপুরে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত গার্মেন্টস কর্মী ইমরান হোসাইন (৩০) মারা গেছেন। গাজীপুরের একটি ভাড়া বাসায় শুক্রবার (১৩ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিনি মারা যান। ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মুশুল্লী ইউনিয়নের চপই মোহনপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে শনিবার দুপুর দুইটার দিকে তার মরদেহ দাফন করা হয়।

নিহত ইমরান হোসাইন একই গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে। পেশায় তিনি গার্মেন্টস কর্মী ছিলেন। তার স্ত্রী ও দেড় বছরের এক সন্তান রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছিলেন গার্মেন্টস কর্মী ইমরান। তার বুকসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ছররা গুলির স্প্লিন্টার ছিল। শুক্রবার রাতে প্রচণ্ড ব্যথার একপর্যায়ে মারা যান তিনি।

নিহত ইমরান হোসাইনের চাচাতো ভাই মো. রাকিব মিয়া বলেন, ইমরান প্রায় সাত বছর ধরে গাজীপুরের একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন । সেখানে স্ত্রীসহ দেড় বছর বয়সী একমাত্র সন্তানকে নিয়ে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। গত বছরের ২৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যোগ দেন তিনি। এ সময় ইমরানের বুক, হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ছররা গুলি লাগে। এ অবস্থায় আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঢাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করলে সেখানে দুইদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।

তিনি বলেন, শরীর থেকে চিকিৎসকরা কিছু ছররা গুলি বের করলেও আরও অনেকগুলো শরীরে ছিল। এগুলো বের করতে কোনো হাসপাতালে যেতেন না ইমরান। ছররা গুলির কারণে ব্যথা অনুভূত হতো। তবুও তিনি এগুলো বের করতে ভয় পেতেন। নিয়মিত চাকরিও করছিলেন।

মো. রাকিব মিয়া আরও বলেন, কোরবানির ঈদের দুইদিন আগে ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে আসেন ইমরান। শুক্রবার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে গাজীপুরের ভাড়া বাসায় চলে যান। সেখানে প্রচণ্ড ব্যথার এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে অচেতন হয়ে যান। পরে তাকে গাজীপুরের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক অভি চৌধুরী বলেন, মারা যাওয়া জুলাই যোদ্ধা ইমরানের স্ত্রী-সন্তানের পাশে সরকার দাঁড়াবে। এটা প্রত্যাশা করি।