ঢাকা ০৯:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫

    কুরআনের তাফসির, সূরা আন’আম, আয়াত ১৫-১৬

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৬:০৯:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫
    • / ২৬০ বার পড়া হয়েছে

    بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ (বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম)

    সূরা আন’আম, আয়াত ১৫-১৬
    আয়াত ১৫: (قُلۡاِنِّیۡۤاَخَافُاِنۡعَصَیۡتُرَبِّیۡعَذَابَیَوۡمٍعَظِیۡمٍ)
    “বলুন, ‘আমি যদি আমার প্রতিপালকের অবাধ্যতা করি, তবে আমি ভয় করি যে, মহাদিনের শাস্তি আমার উপর আপতিত হবে।
    সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা: এই আয়াতে আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করার শাস্তিকে একটি বিশেষ ভঙ্গিতে বর্ণনা করা হয়েছে। আল্লাহ রাসূল (সা.)-কে আদেশ দিয়েছেন যেন তিনি বলেন, “যদি আমিও আমার প্রতিপালকের নির্দেশ অমান্য করি, তাহলে আমারও কিয়ামতের শাস্তির ভয় রয়েছে।” এর মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে যে, যখন নবীদের নেতাকেও আল্লাহর নির্দেশের বিরোধিতা করার জন্য ক্ষমা করা হবে না, তখন অন্যদের কথা তো বলাই বাহুল্য। যদি কেউ শিরক বা কুফরীর মাধ্যমে আল্লাহর অবাধ্য হয়, তাহলে তার কোনো রক্ষা নেই এবং সে স্থায়ীভাবে আল্লাহর ক্রোধ ও জাহান্নামে অবস্থান করবে।

    আয়াত ১৬: (مَنۡیُّصۡرَفۡعَنۡهُیَوۡمَئِذٍفَقَدۡرَحِمَهٗؕوَذٰلِكَالۡفَوۡزُالۡمُبِیۡنُ)
    “সেদিন যাকে শাস্তি হতে রক্ষা করা হবে তার প্রতি তিনি তো দয়া করবেন এবং ঐটিই হলো স্পষ্ট সফলতা।”
    সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা: এই আয়াতে হাশরের দিনের অত্যন্ত কঠোর ও লোমহর্ষক শাস্তি থেকে রক্ষা পাওয়ার কথা বলা হয়েছে। যার উপর থেকে এই শাস্তি সরে যাবে, তাকে আল্লাহর অশেষ করুণা লাভকারী হিসেবে গণ্য করা হবে। কারণ, প্রকৃত সফলতা হলো অকল্যাণ থেকে বেঁচে যাওয়া এবং কল্যাণ অর্জন করা।

    এর একটি উদাহরণ অন্য আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে:
    (فَمَنْزُحْزِحَعَنِالنَّارِوَأُدْخِلَالْجَنَّةَفَقَدْفَازَ), অর্থাৎ যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সে সফল হবে। (সূরা আলে-ইমরান, আয়াত ১৮৫)। কারণ, জান্নাতের চেয়ে বড় কল্যাণ আর কিছু হতে পারে না। (তাফসীর আব্দুর রাযযাক)

    নিউজটি শেয়ার করুন

    কুরআনের তাফসির, সূরা আন’আম, আয়াত ১৫-১৬

    আপডেট সময় ০৬:০৯:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫

    بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ (বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম)

    সূরা আন’আম, আয়াত ১৫-১৬
    আয়াত ১৫: (قُلۡاِنِّیۡۤاَخَافُاِنۡعَصَیۡتُرَبِّیۡعَذَابَیَوۡمٍعَظِیۡمٍ)
    “বলুন, ‘আমি যদি আমার প্রতিপালকের অবাধ্যতা করি, তবে আমি ভয় করি যে, মহাদিনের শাস্তি আমার উপর আপতিত হবে।
    সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা: এই আয়াতে আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করার শাস্তিকে একটি বিশেষ ভঙ্গিতে বর্ণনা করা হয়েছে। আল্লাহ রাসূল (সা.)-কে আদেশ দিয়েছেন যেন তিনি বলেন, “যদি আমিও আমার প্রতিপালকের নির্দেশ অমান্য করি, তাহলে আমারও কিয়ামতের শাস্তির ভয় রয়েছে।” এর মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে যে, যখন নবীদের নেতাকেও আল্লাহর নির্দেশের বিরোধিতা করার জন্য ক্ষমা করা হবে না, তখন অন্যদের কথা তো বলাই বাহুল্য। যদি কেউ শিরক বা কুফরীর মাধ্যমে আল্লাহর অবাধ্য হয়, তাহলে তার কোনো রক্ষা নেই এবং সে স্থায়ীভাবে আল্লাহর ক্রোধ ও জাহান্নামে অবস্থান করবে।

    আয়াত ১৬: (مَنۡیُّصۡرَفۡعَنۡهُیَوۡمَئِذٍفَقَدۡرَحِمَهٗؕوَذٰلِكَالۡفَوۡزُالۡمُبِیۡنُ)
    “সেদিন যাকে শাস্তি হতে রক্ষা করা হবে তার প্রতি তিনি তো দয়া করবেন এবং ঐটিই হলো স্পষ্ট সফলতা।”
    সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা: এই আয়াতে হাশরের দিনের অত্যন্ত কঠোর ও লোমহর্ষক শাস্তি থেকে রক্ষা পাওয়ার কথা বলা হয়েছে। যার উপর থেকে এই শাস্তি সরে যাবে, তাকে আল্লাহর অশেষ করুণা লাভকারী হিসেবে গণ্য করা হবে। কারণ, প্রকৃত সফলতা হলো অকল্যাণ থেকে বেঁচে যাওয়া এবং কল্যাণ অর্জন করা।

    এর একটি উদাহরণ অন্য আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে:
    (فَمَنْزُحْزِحَعَنِالنَّارِوَأُدْخِلَالْجَنَّةَفَقَدْفَازَ), অর্থাৎ যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সে সফল হবে। (সূরা আলে-ইমরান, আয়াত ১৮৫)। কারণ, জান্নাতের চেয়ে বড় কল্যাণ আর কিছু হতে পারে না। (তাফসীর আব্দুর রাযযাক)