বৈদেশিক সহায়তা বন্ধের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চাইল ট্রাম্প প্রশাসন

- আপডেট সময় ০৪:১০:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৬০ বার পড়া হয়েছে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে চলমান আইনি লড়াইয়ে হস্তক্ষেপের জন্য সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) নিম্ন আদালতের দেওয়া একটি রায়ের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে এই আপিল করা হয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, সুপ্রিম কোর্ট এই মুহূর্তে হস্তক্ষেপ না করলে নিম্ন আদালতের রায়ের কারণে তাদের প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক সহায়তার জন্য খরচ করতে বাধ্য হতে হবে, যা তাদের পররাষ্ট্রনীতির সিদ্ধান্তের পরিপন্থী। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ বলছে, এই সিদ্ধান্তের ফলে অপূরণীয় কূটনৈতিক ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এই মাসের শুরুতে মার্কিন আপিল বিভাগের তিন বিচারকের একটি প্যানেল রায় দিয়েছিল যে, কংগ্রেস কর্তৃক অনুমোদিত ব্যয়ে পরিবর্তন আনার বিরুদ্ধে কেবল আইনসভা মামলা করতে পারে, কোনো অলাভজনক সংস্থা নয়। এই রায়ের ফলে নিম্ন আদালতের দেওয়া একটি রায় বাতিল হয়ে যায়। যদিও এই রায় প্রশাসনের পক্ষে গিয়েছিল, তবুও মামলাটি পূর্ণ ডিসি সার্কিটে পুনরায় আপিল করা হয়েছে, যা এখনও বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি নিম্ন আদালত ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দেওয়া জেলা আদালতের রায় বহাল রেখেছে।
প্রশাসন জানিয়েছে, আদালতের আদেশের ফলে সরকারকে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কয়েক বিলিয়ন ডলার বরাদ্দকৃত অর্থ বিদেশি সাহায্যের জন্য ব্যয় করতে হবে। মামলার নথিতে ট্রাম্প প্রশাসন উল্লেখ করেছে যে জেলা আদালত নিজেকে সরকারি ব্যয়ের প্রধান তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। আদালতের এই আদেশ সরকারের ওপর অর্থ ব্যয় করার চাপ সৃষ্টি করছে, যা দেশটির পররাষ্ট্রনীতিতে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই ট্রাম্প প্রশাসন সুপ্রিম কোর্টকে আগামী ২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জেলা আদালতের রায় স্থগিত করার জন্য অনুরোধ করেছে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া বৈদেশিক সহায়তা বন্ধ করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন স্বাস্থ্য ও এইচআইভি/এইডস কর্মসূচির পরিচালনাকারী সংস্থাগুলো মামলা করেছিল। এই সংস্থাগুলো তাদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এবং ‘ইউএসএইড’-এর কাছ থেকে অর্থ পেয়ে থাকে। এর আগে গত মার্চ মাসেও মামলাটি একবার সুপ্রিম কোর্টে গড়িয়েছিল, যেখানে আদালত প্রাথমিকভাবে বৈদেশিক সহায়তা বন্ধ রাখার বিষয়ে প্রশাসনের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছিল। সেই সিদ্ধান্তের ফলে নিম্ন আদালতের দেওয়া রায় বহাল ছিল।