বুয়েট শিক্ষার্থীদের ‘মার্চ টু যমুনা’তে পুলিশের টিয়ারশেল ও জলকামান

- আপডেট সময় ০৪:১৫:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৫৭ বার পড়া হয়েছে
তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাত্রা করলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। এক পর্যায়ে পুলিশের টিয়ারশেল নিক্ষেপে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
বুধবার দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে শাহবাগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে সংঘর্ষের এই ঘটনা ঘটে। এর আগে বুয়েট শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবিতে শাহবাগের প্রধান সড়ক অবরোধ করেন। দুপুর ১টার মধ্যে তাদের দাবির প্রতি কোনো প্রজ্ঞাপন না আসায় তারা ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
প্রতিবেদকরা জানান, শিক্ষার্থীরা ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনের বেরিকেড ভেঙে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের উদ্দেশ্যে রওনা হলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ শুরু করে। শিক্ষার্থীরা পিছনে ফিরে গেলেও আবার বাসভবনের দিকে গেলে পুলিশ হামলা চালায়। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে, এরপর কাদানি গ্যাসও নিক্ষেপ করা হয়।
আহসানুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, পুলিশের এই অভিযান চলাকালীন অন্তত ৫ থেকে ৭ জন আহত হয়েছেন। বহুবার সাউন্ডগ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপের পর শিক্ষার্থীরা ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে অবস্থান ছেড়ে শাহবাগের বারডেম হাসপাতালের সামনে চলে যান।
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাইয়াজ এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, “১টা পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল, কোনো আপডেট আসেনি। পোলাপান যমুনা অভিমুখে গেলে পুলিশ কোনো ব্যারিকেড ছাড়াই এসে হঠাৎ হামলা চালাল। আমরা শিক্ষার্থীরা শান্ত করার চেষ্টা করেছি, তবুও লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেডে আহত হয়েছি। এখনও হামলা চলছেই।”
শিক্ষার্থীরা তাদের তিন দফা দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তারা চান—ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নামের আগে ‘প্রকৌশলী’ পদবি ব্যবহার না করা, ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নবম গ্রেডে পদোন্নতি না দেওয়া এবং দশম গ্রেডের চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে স্নাতক প্রকৌশলীদের সুযোগ নিশ্চিত করা হোক।