ঢাকা ০৯:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫

    ড. ইউনূসের সরকারও বিতর্কিত, সেফ এক্সিট খুঁজছেন তিনি-মাসুদ কামাল

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০২:২৪:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫
    • / ২৬১ বার পড়া হয়েছে

    জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেছেন, বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলোর মধ্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার এবং ওয়ান-ইলেভেন সরকার ছিল বিতর্কিত। সম্প্রতি একটি টেলিভিশন টকশোতে এসে তিনি এই মন্তব্য করেন।

    মাসুদ কামাল বলেন, বিতর্কিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলো যখন তাদের মেয়াদ শেষ হয়, তখন একটি নিরাপদ প্রস্থানের (সেফ এক্সিট) পথ খোঁজে। ওয়ান-ইলেভেন সরকার আওয়ামী লীগের সঙ্গে আগেই এই বিষয়ে বোঝাপড়া করে নিয়েছিল, যাতে তারা ক্ষমতায় আসার পর তাদের প্রস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়। একইভাবে, এখন ড. ইউনূসের সরকারও তাদের নিরাপদ প্রস্থানের পথ খুঁজছে। তিনি মনে করেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পর গঠিত ছাত্র-নেতৃত্বাধীন সরকার এই গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। তাই এই সরকার এখন বিএনপির দিকে ঝুঁকছে এবং তাদের কাছে নিরাপদ প্রস্থানের জন্য সহযোগিতা চাইছে।

    মাসুদ কামাল বলেন, “বিএনপি কী করবে সেটা বিএনপির ব্যাপার, কিন্তু ড. ইউনূস যে চেষ্টা চালাচ্ছেন, তা দৃশ্যমান।” তিনি আরও বলেন, ছাত্র-নেতাদের এই আন্দোলনের সম্ভাবনাকে ড. ইউনূস তার ব্যক্তিগত স্বার্থে নষ্ট করেছেন। তিনি বলেন, “তিনি (ড. ইউনূস) এই দলটির গায়ে একটি ট্যাগ লাগিয়ে দিয়েছেন, যার ফলে জনগণের কাছে এদের গ্রহণযোগ্যতা একদম কমে গেছে।”

    এই জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আরও বলেন, অপরিমিত ক্ষমতা হাতে পেয়ে ছাত্র-নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, “সচিবালয়ে সাংবাদিকরা ঢুকতে পারে না, কিন্তু ওরা ঢুকতে পারে। ওখানে গিয়ে তারা তদবির করেছে। অনেক ডিসি বদলি হয়েছে এদের সুপারিশের কারণে। এরা কি জানে কাকে কোথায় ডিসি দিতে হবে? ট্যাগ লাগানোর কারণে তারা জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং তাদের চরিত্র ধরে রাখতে পারেনি।”

    নিউজটি শেয়ার করুন

    ড. ইউনূসের সরকারও বিতর্কিত, সেফ এক্সিট খুঁজছেন তিনি-মাসুদ কামাল

    আপডেট সময় ০২:২৪:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫

    জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেছেন, বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলোর মধ্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার এবং ওয়ান-ইলেভেন সরকার ছিল বিতর্কিত। সম্প্রতি একটি টেলিভিশন টকশোতে এসে তিনি এই মন্তব্য করেন।

    মাসুদ কামাল বলেন, বিতর্কিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলো যখন তাদের মেয়াদ শেষ হয়, তখন একটি নিরাপদ প্রস্থানের (সেফ এক্সিট) পথ খোঁজে। ওয়ান-ইলেভেন সরকার আওয়ামী লীগের সঙ্গে আগেই এই বিষয়ে বোঝাপড়া করে নিয়েছিল, যাতে তারা ক্ষমতায় আসার পর তাদের প্রস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়। একইভাবে, এখন ড. ইউনূসের সরকারও তাদের নিরাপদ প্রস্থানের পথ খুঁজছে। তিনি মনে করেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পর গঠিত ছাত্র-নেতৃত্বাধীন সরকার এই গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। তাই এই সরকার এখন বিএনপির দিকে ঝুঁকছে এবং তাদের কাছে নিরাপদ প্রস্থানের জন্য সহযোগিতা চাইছে।

    মাসুদ কামাল বলেন, “বিএনপি কী করবে সেটা বিএনপির ব্যাপার, কিন্তু ড. ইউনূস যে চেষ্টা চালাচ্ছেন, তা দৃশ্যমান।” তিনি আরও বলেন, ছাত্র-নেতাদের এই আন্দোলনের সম্ভাবনাকে ড. ইউনূস তার ব্যক্তিগত স্বার্থে নষ্ট করেছেন। তিনি বলেন, “তিনি (ড. ইউনূস) এই দলটির গায়ে একটি ট্যাগ লাগিয়ে দিয়েছেন, যার ফলে জনগণের কাছে এদের গ্রহণযোগ্যতা একদম কমে গেছে।”

    এই জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আরও বলেন, অপরিমিত ক্ষমতা হাতে পেয়ে ছাত্র-নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, “সচিবালয়ে সাংবাদিকরা ঢুকতে পারে না, কিন্তু ওরা ঢুকতে পারে। ওখানে গিয়ে তারা তদবির করেছে। অনেক ডিসি বদলি হয়েছে এদের সুপারিশের কারণে। এরা কি জানে কাকে কোথায় ডিসি দিতে হবে? ট্যাগ লাগানোর কারণে তারা জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং তাদের চরিত্র ধরে রাখতে পারেনি।”