রান্নার একটি অপরিহার্য উপাদান রসুন, যা খাবারের স্বাদ বাড়াতে সাহায্য করে। তবে রান্নার পাশাপাশি কাঁচা রসুন খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী হতে পারে।

প্রতিদিন কাঁচা রসুন খেলে শরীরে নানা ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন আসে। বিশেষজ্ঞরা সাধারণত সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুন খাওয়ার পরামর্শ দেন, তবে দিনের যেকোনো সময় এটি খাওয়া যেতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, অতিরিক্ত কাঁচা রসুন খেলে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, তাই দিনে এক বা দুই কোয়ার বেশি রসুন খাওয়া উচিত নয়।

কাঁচা রসুনের স্বাস্থ্যগত উপকারিতা
• রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: রসুনে থাকা অ্যালিসিন নামক যৌগটির অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। নিয়মিত রসুন খেলে এটি শরীরকে সর্দি, ফ্লু এবং ছোটখাটো সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে।
• হৃদরোগের স্বাস্থ্য উন্নত করে: রসুন এলডিএল (খারাপ) কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং এইচডিএল (ভালো) কোলেস্টেরল সামান্য বাড়ায়। এটি রক্তনালীর স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করে এবং ধমনীতে প্লাক জমা কমিয়ে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
• রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: গবেষণায় দেখা গেছে, রসুন উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে। কারণ এটি রক্তনালীগুলিকে শিথিল করে এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য এটি বিশেষভাবে উপকারী।
• প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই: রসুনে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং সালফার যৌগ শরীরে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এটি আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস এবং এমনকি কিছু ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায়।
• মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে: রসুনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য মস্তিষ্কের কোষগুলিকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং বয়স-সম্পর্কিত ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, রসুন মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ উন্নত করে, যার ফলে আলঝাইমার এবং ডিমেনশিয়ার মতো রোগের ঝুঁকি কমতে পারে।