ঢাকা ০৭:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    সকলের উচিত ভোটারদের রায়কে সম্মান করা – হাসনাত আব্দুল্লাহ

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ১২:৩৬:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
    • / ২৫৯ বার পড়া হয়েছে

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, “সকলের উচিত ভোটারদের রায়কে সম্মান করা।”

    মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, “আজ ডাকসুতে যারা জিতবে, তারা কীভাবে দায়িত্ব নেবে এবং যারা হারবে, তারা কীভাবে পরাজয় গ্রহণ করবে—এই দুইটি প্রশ্নের উত্তর বলে দেবে আমাদের জাতীয় রাজনীতি ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ কোন দিকে যাচ্ছে।”

    তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব বিস্তার অত্যন্ত উদ্বেগজনক। পেশিশক্তি, জনশক্তি ও সংগঠিত উপস্থিতির মাধ্যমে নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা ছাত্র রাজনীতির নিজস্ব চরিত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ডাকসু এখন শুধু ছাত্রদের ম্যান্ডেট বহন করছে না, বরং জাতীয় রাজনৈতিক দলের এক্সটেনশন গেমে পরিণত হয়েছে, যা ভবিষ্যতের জন্য নেতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে।

    হাসনাত আব্দুল্লাহ আরও অভিযোগ করেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ভিন্ন মতের শিক্ষক থেকে শুরু করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ সবার প্রতি গণহারে ট্যাগ বসানোর প্রবণতা স্পষ্ট হয়েছে। শেখ হাসিনার আমলের বিভাজন, সন্দেহ ও দমননীতির ধারাবাহিকতায় তৈরি এই মানসিকতা রাজনীতিকে দীর্ঘমেয়াদে অনিরাপদ ও সংকুচিত করে তুলবে।

    ছাত্র রাজনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নিয়মিত নতুন নেতৃত্বের উত্থান এবং পরাজয়কে পরবর্তী প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গ্রহণের সংস্কৃতি তৈরি করা জরুরি। “ডাকসু নির্বাচন সেই সংস্কৃতি তৈরির সূচনা হতে পারত, তবে ফলাফল গ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য ক্ষতিকর দৃষ্টান্ত তৈরি করছে।”

    সব রাজনৈতিক দলকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও লেখেন, “সকলের উচিত ভোটারদের রায়কে সম্মান করা। গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি সহিষ্ণুতা। যাকে আমি পছন্দ করি না, তাকেও যদি জনগণ বেছে নেয়, সেটিকে সম্মান করাই গণতন্ত্র।”

    স্ট্যাটাসের শেষ অংশে হাসনাত আব্দুল্লাহ সতর্ক করে লিখেছেন, “গত ১৭ বছর ধরে রাজনৈতিক দলগুলোর স্বল্পমেয়াদি স্বার্থে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ফল ভুগছে দেশ। এবার সময় এসেছে পরাজয়কে সম্মানিত করার সংস্কৃতি গড়ে তোলার। অন্যথায় আগামী দিনের রাজনীতি থেকে যাবে কেবল জয়ীদের উল্লাস আর পরাজিতদের ক্ষোভে বন্দী, আর গণতন্ত্র কোনোদিন পূর্ণতা পাবে না।”

    নিউজটি শেয়ার করুন

    সকলের উচিত ভোটারদের রায়কে সম্মান করা – হাসনাত আব্দুল্লাহ

    আপডেট সময় ১২:৩৬:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, “সকলের উচিত ভোটারদের রায়কে সম্মান করা।”

    মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, “আজ ডাকসুতে যারা জিতবে, তারা কীভাবে দায়িত্ব নেবে এবং যারা হারবে, তারা কীভাবে পরাজয় গ্রহণ করবে—এই দুইটি প্রশ্নের উত্তর বলে দেবে আমাদের জাতীয় রাজনীতি ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ কোন দিকে যাচ্ছে।”

    তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব বিস্তার অত্যন্ত উদ্বেগজনক। পেশিশক্তি, জনশক্তি ও সংগঠিত উপস্থিতির মাধ্যমে নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা ছাত্র রাজনীতির নিজস্ব চরিত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ডাকসু এখন শুধু ছাত্রদের ম্যান্ডেট বহন করছে না, বরং জাতীয় রাজনৈতিক দলের এক্সটেনশন গেমে পরিণত হয়েছে, যা ভবিষ্যতের জন্য নেতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে।

    হাসনাত আব্দুল্লাহ আরও অভিযোগ করেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ভিন্ন মতের শিক্ষক থেকে শুরু করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ সবার প্রতি গণহারে ট্যাগ বসানোর প্রবণতা স্পষ্ট হয়েছে। শেখ হাসিনার আমলের বিভাজন, সন্দেহ ও দমননীতির ধারাবাহিকতায় তৈরি এই মানসিকতা রাজনীতিকে দীর্ঘমেয়াদে অনিরাপদ ও সংকুচিত করে তুলবে।

    ছাত্র রাজনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নিয়মিত নতুন নেতৃত্বের উত্থান এবং পরাজয়কে পরবর্তী প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গ্রহণের সংস্কৃতি তৈরি করা জরুরি। “ডাকসু নির্বাচন সেই সংস্কৃতি তৈরির সূচনা হতে পারত, তবে ফলাফল গ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য ক্ষতিকর দৃষ্টান্ত তৈরি করছে।”

    সব রাজনৈতিক দলকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও লেখেন, “সকলের উচিত ভোটারদের রায়কে সম্মান করা। গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি সহিষ্ণুতা। যাকে আমি পছন্দ করি না, তাকেও যদি জনগণ বেছে নেয়, সেটিকে সম্মান করাই গণতন্ত্র।”

    স্ট্যাটাসের শেষ অংশে হাসনাত আব্দুল্লাহ সতর্ক করে লিখেছেন, “গত ১৭ বছর ধরে রাজনৈতিক দলগুলোর স্বল্পমেয়াদি স্বার্থে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ফল ভুগছে দেশ। এবার সময় এসেছে পরাজয়কে সম্মানিত করার সংস্কৃতি গড়ে তোলার। অন্যথায় আগামী দিনের রাজনীতি থেকে যাবে কেবল জয়ীদের উল্লাস আর পরাজিতদের ক্ষোভে বন্দী, আর গণতন্ত্র কোনোদিন পূর্ণতা পাবে না।”