ঢাকা ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

    জামায়াতে ইসলামীর ইতিহাস গড়া সমাবেশে জনস্রোত, মুখরিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যান

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০২:২৫:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
    • / ২৫৯ বার পড়া হয়েছে

    রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশ। দুপুর ২টায় সমাবেশের আনুষ্ঠানিক সময় নির্ধারিত থাকলেও সকাল থেকেই উদ্যান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় দলটির নেতাকর্মী ও সমর্থকে। শুক্রবার রাত থেকেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে ঢাকামুখী হন তারা। ফলে সকাল ১০টার আগেই সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে সমাবেশের প্রথম পর্ব শুরু হয়ে যায়।

    বিশেষভাবে চোখে পড়েছে ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ থেকে আগত হাজার হাজার নেতাকর্মীর সাড়া। ব্যানার, ফেস্টুন, স্লোগানে মুখরিত পরিবেশে তারা ব্যক্তিগত গাড়ি, পিকআপ ও বাসযোগে দলে দলে যোগ দিয়েছেন সমাবেশে। সকাল থেকে সংগঠিতভাবে যাত্রা শুরু করে দুপুরের দিকে ঢাকায় এসে পৌঁছান তারা।

    সমাবেশস্থল ছাড়িয়ে চারপাশের সড়কজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে মানুষের ঢল। এমনকি রমনা পার্কেও নেতাকর্মীদের অবস্থান চোখে পড়ে, যেখানে কেউ বিশ্রাম নিচ্ছেন, কেউবা আড্ডায় মগ্ন। প্রচণ্ড ভ্যাপসা গরমও থামাতে পারেনি তাদের অংশগ্রহণের উদ্দীপনা।

    এ সমাবেশে দলটি সাত দফা দাবি উত্থাপন করেছে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ গঠন, সব গণহত্যার বিচার, মৌলিক সংস্কার বাস্তবায়ন, ‘জুলাই সনদ’ ও ঘোষণাপত্র কার্যকর করা, ‘জুলাই অভ্যুত্থান’-এ শহীদ ও আহতদের পরিবারকে পুনর্বাসন, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন এবং এক কোটিরও বেশি প্রবাসী ভোটারের ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ।

    বাংলাদেশের ইতিহাসে এটাই প্রথমবার, যখন জামায়াতে ইসলামী এককভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ আয়োজন করল। বিশাল এই আয়োজন সফল করতে মাঠে রয়েছেন প্রায় ২০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক, যারা ভোর থেকেই উদ্যান ও আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকায় দায়িত্ব পালন করছেন। সার্বিকভাবে বলা যায়, এ সমাবেশ শুধু রাজনৈতিক কর্মসূচিই নয়, জামায়াতের শক্তি প্রদর্শনের একটি বড় উদাহরণ হয়ে রইল।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    জামায়াতে ইসলামীর ইতিহাস গড়া সমাবেশে জনস্রোত, মুখরিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যান

    আপডেট সময় ০২:২৫:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

    রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশ। দুপুর ২টায় সমাবেশের আনুষ্ঠানিক সময় নির্ধারিত থাকলেও সকাল থেকেই উদ্যান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় দলটির নেতাকর্মী ও সমর্থকে। শুক্রবার রাত থেকেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে ঢাকামুখী হন তারা। ফলে সকাল ১০টার আগেই সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে সমাবেশের প্রথম পর্ব শুরু হয়ে যায়।

    বিশেষভাবে চোখে পড়েছে ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ থেকে আগত হাজার হাজার নেতাকর্মীর সাড়া। ব্যানার, ফেস্টুন, স্লোগানে মুখরিত পরিবেশে তারা ব্যক্তিগত গাড়ি, পিকআপ ও বাসযোগে দলে দলে যোগ দিয়েছেন সমাবেশে। সকাল থেকে সংগঠিতভাবে যাত্রা শুরু করে দুপুরের দিকে ঢাকায় এসে পৌঁছান তারা।

    সমাবেশস্থল ছাড়িয়ে চারপাশের সড়কজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে মানুষের ঢল। এমনকি রমনা পার্কেও নেতাকর্মীদের অবস্থান চোখে পড়ে, যেখানে কেউ বিশ্রাম নিচ্ছেন, কেউবা আড্ডায় মগ্ন। প্রচণ্ড ভ্যাপসা গরমও থামাতে পারেনি তাদের অংশগ্রহণের উদ্দীপনা।

    এ সমাবেশে দলটি সাত দফা দাবি উত্থাপন করেছে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ গঠন, সব গণহত্যার বিচার, মৌলিক সংস্কার বাস্তবায়ন, ‘জুলাই সনদ’ ও ঘোষণাপত্র কার্যকর করা, ‘জুলাই অভ্যুত্থান’-এ শহীদ ও আহতদের পরিবারকে পুনর্বাসন, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন এবং এক কোটিরও বেশি প্রবাসী ভোটারের ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ।

    বাংলাদেশের ইতিহাসে এটাই প্রথমবার, যখন জামায়াতে ইসলামী এককভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ আয়োজন করল। বিশাল এই আয়োজন সফল করতে মাঠে রয়েছেন প্রায় ২০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক, যারা ভোর থেকেই উদ্যান ও আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকায় দায়িত্ব পালন করছেন। সার্বিকভাবে বলা যায়, এ সমাবেশ শুধু রাজনৈতিক কর্মসূচিই নয়, জামায়াতের শক্তি প্রদর্শনের একটি বড় উদাহরণ হয়ে রইল।