রংপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ ২০ জন আহত

- আপডেট সময় ০৫:১৯:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫
- / ৫৮ বার পড়া হয়েছে
রংপুরের বদরগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা শহরের শহীদ মিনারের সামনে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বদরগঞ্জ বাজারে দোকান ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে টিনের ব্যবসা করছেন জাহিদুল ইসলাম। গত মাসে দোকান মালিক ইতিয়াক বাবু তাকে দোকান ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন।
চুক্তি অনুযায়ী ২০২৮ সাল পর্যন্ত দোকান ভাড়া থাকার কথা। তবে জাহিদুল দোকান ছেড়ে দেওয়ার জন্য জামানত বাবদ দেওয়া ৩৫ লাখ টাকা ফেরত চান। কিন্তু দোকান মালিক টাকা দিতে অস্বীকার করেন এবং দোকান ছেড়ে না দিলে জোর করে ছাড়িয়ে নেওয়ার হুমকি দেন।
এরই প্রেক্ষিতে দোকান মালিক ইতিয়াক বাবু দলবল নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় দোকানঘর ভাঙচুরসহ লুটপাট করেন। এ সময় জাহিদুল ইসলাম প্রতিবাদ করলে তাকেও মারধর করে আহত করা হয়।
এ ঘটনায় জাহিদুল ইসলামের পক্ষ নেন উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল হক মানিক।
জামানতের টাকা না দিয়ে ভাড়াটিয়াকে মারধর এবং দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার বদরগঞ্জ শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন আয়োজন করে বিএনপির শহিদুল হক মানিক গ্রুপ।
মানববন্ধনের সময় সাবেক এমপি রংপুর জেলা বিএনপির সদস্য ও বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সদস্য মোহাম্মদ আলী সরকার গ্রুপ অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের সঙ্গে যোগ দেন বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কোভিদ মানিক। হামলা চালিয়ে তারা মানববন্ধনের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন এবং মাইক ভাঙচুর করেন। এতে মানববন্ধনকারী মানিক গ্রুপের লোকজন বাধা দিলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় সাংবাদিকসহ ২০ জন আহত হন। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শফিকুল ইসলাম, লাভলু হাজী, ময়নাল উদ্দিনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বদরগঞ্জ থানার ওসি এ কে এম আতিকুর রহমান জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।