ঢাকা ০৩:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায় বিএনপিসহ অনেক দল

মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন
  • আপডেট সময় ০১:১০:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
  • / ২৮৬ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ফের উত্তাপ ছড়িয়েছে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে। সম্প্রতি বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছে। তারা বলছে সংবিধান ও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষার স্বার্থেই এই নির্বাচন সময়মতো অনুষ্ঠিত হওয়া জরুরি।

বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনই দেশের স্থিতিশীলতা এবং গণতন্ত্রের বিকাশে সহায়ক হতে পারে। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও জনমনে আস্থার সংকট দূর করতে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আন্তরিকতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দিতে হবে—এটাই জনগণের চাওয়া। শুধু বিএনপি নয়, আরও কয়েকটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলও একই দাবি জানিয়েছে। তাদের মতে নির্বাচন পেছানো হলে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে, যা অর্থনীতি এবং সামাজিক স্থিতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

বিপরীতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন হবে এবং নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করবে। সরকার নির্ধারিত সময়মতো নির্বাচন চায় এবং এজন্য সব প্রস্তুতি নিচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, তাহলে একটি সুন্দর নির্বাচন সম্ভব।

বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য সব পক্ষের মধ্যে আস্থা ও সংলাপ জরুরি। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার দ্বন্দ্বের অবসান এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সক্রিয় অংশগ্রহণই পারে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে। জাতীয় নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি কীভাবে বাস্তবায়িত হয়—তা এখন সময়ই বলে দেবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায় বিএনপিসহ অনেক দল

আপডেট সময় ০১:১০:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ফের উত্তাপ ছড়িয়েছে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে। সম্প্রতি বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছে। তারা বলছে সংবিধান ও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষার স্বার্থেই এই নির্বাচন সময়মতো অনুষ্ঠিত হওয়া জরুরি।

বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনই দেশের স্থিতিশীলতা এবং গণতন্ত্রের বিকাশে সহায়ক হতে পারে। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও জনমনে আস্থার সংকট দূর করতে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আন্তরিকতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দিতে হবে—এটাই জনগণের চাওয়া। শুধু বিএনপি নয়, আরও কয়েকটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলও একই দাবি জানিয়েছে। তাদের মতে নির্বাচন পেছানো হলে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে, যা অর্থনীতি এবং সামাজিক স্থিতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

বিপরীতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন হবে এবং নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করবে। সরকার নির্ধারিত সময়মতো নির্বাচন চায় এবং এজন্য সব প্রস্তুতি নিচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, তাহলে একটি সুন্দর নির্বাচন সম্ভব।

বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য সব পক্ষের মধ্যে আস্থা ও সংলাপ জরুরি। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার দ্বন্দ্বের অবসান এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সক্রিয় অংশগ্রহণই পারে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে। জাতীয় নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি কীভাবে বাস্তবায়িত হয়—তা এখন সময়ই বলে দেবে।