শ্রমিক থেকে প্রেসিডেন্ট: লি জে-মিয়ংয়ের বিস্ময়কর উত্থান

- আপডেট সময় ০১:৫৯:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫
- / ২৬০ বার পড়া হয়েছে
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতিতে এক চমকপ্রদ মোড়! একজন গরিব কিশোর, যিনি এক সময় ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন…আজ তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার সর্বোচ্চ পদে—প্রেসিডেন্ট লি জে-মিয়ং।
একটা সময় ছিল, যখন তার হাত মেশিনে আটকে গিয়েছিল—কবজি ভেঙে গিয়েছিল। স্কুলে যাওয়ার সুযোগ ছিল না, তাই বিশেষ অনুমতি নিয়ে ভর্তি পরীক্ষায় বসেন। তারপর—প্রায় ২০ বছর মানবাধিকার আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন। অবশেষে ২০০৫ সালে নাম লেখান রাজনীতিতে।
লি জে-মিয়ংয়ের রাজনৈতিক যাত্রাও রূপকথার চেয়ে কম নয়। তিনি ছিলেন এক প্রকার ‘আউটসাইডার’। তার চিন্তাধারা প্রথাগত রাজনীতিকদের মতো নয়। ২০২২ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সবার জন্য মৌলিক আয়।
এই প্রস্তাব সেই সময় দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনৈতিক কাঠামোকেই নাড়িয়ে দেয়। তবে একেবারে শেষ মুহূর্তে মাত্র ০.৭৬ শতাংশ ভোটে হেরে যান। কিন্তু দমে যাননি লি। এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যেই হয়ে ওঠেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা।
২০২৩ সালে নাটকীয় এক ঘটনা ঘটে— তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইউন সামরিক আইন জারি করেন। উত্তর কোরিয়া ও রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিকে ঠেকানোর অজুহাতে নেওয়া হয় এই পদক্ষেপ।
আর ঠিক এই সময়ই
লি জে-মিয়ং লাইভে এসে জনগণকে রাস্তায় নামার ডাক দেন। জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে জমায়েত হয় হাজার হাজার মানুষ। এই গণজোয়ারই পাল্টে দেয় দেশের ভবিষ্যৎ। সামরিক শাসন ব্যর্থ হয়,
পিপিপি পার্টি ভেঙে পড়ে, আর দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণ আস্থা রাখে এক সাবেক শ্রমিকের ওপর। এখন তিনিই দেশের প্রেসিডেন্ট। তবে তার ভবিষ্যৎ এখনও অনিশ্চিত—চলছে একাধিক আইনি মামলা। তবুও, তার গল্প এক অনুপ্রেরণা— একজন সাধারণ মানুষের অসাধারণ যাত্রা।